1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেড়শ’র ক্লাবে নড়াইল এক্সপ্রেস

১৪ এপ্রিল ২০১১

সময়টা ছিল অদ্ভুত৷ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে তখন বোলারের খরা৷ বিশেষ করে পেসারের৷ নড়াইল জেলা মাঠে খেলা একটি ছেলের বোলিং দেখে আশ্চর্য হয়ে যান বিসিবির কর্মকর্তারা৷ কাছে ডাকেন তাকে৷ জাতীয় দলের হয়ে খেলবে সে?

https://p.dw.com/p/10tAd
অ্যাকশানে মাশরাফি বিন মর্তুজাছবি: AP

সেই প্রস্তাব কেউ কী ফিরিয়ে দেয়৷ সেই ছেলেটির নামই মাশরাফি বিন মর্তুজা৷ যার ডাক নাম কৌশিক৷ ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে লাল বল হাতে নিয়ে নেমে পড়েন তিনি পেসার হিসাবে৷ কিন্তু তিনি কী পারবেন? মানে ভালো খেলতে! প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে৷ সে খেলাতেই জিম্বাবোয়েকে ২৬ রান দিয়ে দখল করেন ২টি উইকেট৷ এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি৷ চমৎকার লাইন-লেন্থে বল ফেলে দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন৷ তিনি দেশের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে পরিচিত হয়ে যান নড়াইল এক্সপ্রেস নামে৷

কিন্তু বরাবরই তার শত্রু ইনজুরি৷ এ কারণে দলে হয়ে যান অনিয়মিত৷ বিশ্বকাপের মতো বিশ্বক্রিকেটের বড় আসর খেলতে ব্যর্থ হন তুলা রাশির এই জাতক৷ অভিযোগ ওঠে তার প্রতি বিসিবির অবহেলার৷ যদিও বিসিবি জানিয়েছিল শারীরিক ফিটনেসে সমস্যা আছে তার৷ তবে ৯ এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু হওয়া জুম আলট্রা ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটে দেশ সেরা এ পেসারের৷ ৬৫ রানে ২টি উইকেট শিকার করেন তিনি৷ আর সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে দেড়শ উইকেট দখলের দাবিদার হন নড়াইল এক্সপ্রেস নামে খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা৷ নিজের ১২০তম ম্যাচে অসি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফার্গুসনকে সাজঘরে পাঠিয়ে এ মর্যাদা অর্জন করেন তিনি৷ সব মিলিয়ে এ ম্যাচে নিজের কব্জায় নেন ৩টি উইকেট৷ আর প্রমাণ করেন তিনি এখনও আগের মাশরাফিই আছেন৷ তার উইকেট সংখ্যা ১২০ ম্যাচ শেষে ৪ দশমিক ৬৭ ইকোনমি রেটে ১৫১ উইকেট৷ সেরা বোলিং নৈপুণ্য কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট৷ বোলিং গড় ৩০ দশমিক ৮৬, ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১ বার৷ তবে ৫ বার নিয়েছেন ৪ উইকেট৷

এর আগে দেশের অন্যতম স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এ কৃতিত্ব দেখান৷ রাজ্জাক মাশরাফির সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৭৩টি উইকেট৷ ২৭.৪৪ গড়ে আর ৪.৫০ ইকোনমি রেটে এ বাঁ-হাতি অনেকখানিই এগিয়ে মাশরাফির চেয়ে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী