1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দৈনিক ‘৮ ঘণ্টাব্যাপী’ কাজের ধারণা ‘প্রাচীনপন্থি’

১৩ নভেম্বর ২০১৭

জার্মান অর্থনীতিবিদদের ধারণা, নির্ধারিত সময় ধরে কাজ করার প্রচলিত পদ্ধতি  ‘সেকেলে এবং কঠোর’৷ অন্যদিকে, সংশোধন করা হলে শ্রমিক আইনের অধীনে কর্মজীবীরা হারাতে পারেন প্রয়োজনীয় সুরক্ষা৷

https://p.dw.com/p/2nXEy

জার্মান কাউন্সিল অফ ইকোনমিক এক্সপার্টস-এর মতে, নির্ধারিত সময় ধরে কাজ করার আইনটি এখন আর সময়োপযোগী নয়, বরং প্রয়োজন ‘শিথিল কর্মঘণ্টা’৷ কাউন্সিল চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ স্মিট বলেন, ‘‘আপনি সকালে অফিসে আসার পর কাজ শুরু করবেন আর অফিস থেকে বের হলেই আপনার কাজ শেষ, এখন এ ধারণা অচল৷ জার্মানিতে কর্মী সুরক্ষা আইন কার্যকর আছে, কিন্তু এর একটা অংশ এখনকার ডিজিটাল কর্মপরিবেশের সাথে মানানসই নয়৷’’ 

জার্মানিতে একজন কর্মজীবী দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারেন না এবং সপ্তাহান্তে তাঁর অন্তত ১১ ঘন্টার বিরতি থাকতে হবে, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম ঘটে৷ কাউন্সিলের বাৎসরিক রিপোর্টে বলা হয়, প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারিত না করে পুরো সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রাখা উচিৎ৷ এছাড়াও কর্মঘণ্টা কমানোর বিরোধিতা করে রিপোর্টে বলা হয়, দক্ষ শ্রমিক সংকট বিবেচনায় কাজের সময় কমানোর সিদ্ধান্ত ঠিক হবে না৷

অনেক সমালোচক বলছেন, শ্রমিক আইন শিথিল না করা সত্ত্বেও ডিজিটাইলাজেশনের কারণে জার্মান কর্মীরা নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করে থাকেন৷ অন্যদিকে, ২০১৬ সালে ‘অর্গানেইজেশন ফর ইকোনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট (ওইসিডি) এক হিসেব মতে, অন্য সদস্য দেশগুলোর তুলনায় জার্মান কর্মজীবীরা কম সময় কাজ করে থাকেন৷ অবশ্য বেশিরভাগ মানুষ স্বীকার করেন, এখনকার ডিজিটাল যোগাযোগ নিয়োগকর্তা ও কর্মজীবীদের কাজের সময় ঠিক করার স্বাধীনতা দিয়েছে৷

ফেডারেল অফিস অফ স্ট্যাটিকটিসের তথ্য মতে, গত বছর জার্মান কর্মীরা আর্থিক মূল্যে ৭৭২ মিলিয়ন ঘণ্টা কাজ করেছেন যেখানে প্রায় ৯৪৭ মিলিয়ন ঘণ্টার বাড়তি কাজের মূল্যায়ন করা হয়নি৷ অন্যদিকে এমপ্লয়ারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দক্ষ কর্মীর অভাবের কারণেই অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সের পরেও অনেক জার্মান কাজ করে থাকেন৷

গত জুনে জার্মান ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (ডিজিবি) কর্মঘন্টা শিথিলের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে৷ অন্যদিকে, মেটাল ওয়ার্কারস ইউনিয়ন আইজি মেটাল সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের জন্য আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছে৷  

রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবির, সবুজ দল ও ব্যবসাবান্ধব এফডিপি-র তথাকথিত ‘জামাইকা কোয়ালিশন’ গঠনের অন্যতম আলোচ্য বিষয় এ ‘কর্মঘণ্টা নির্ধারণী আইন’৷ সিডিইউ-সিএসইউ এবং এফডিপি নিয়োগকর্তাদের সুবিধা দিতে আইন শিথিলের পক্ষে, অন্যদিকে সবুজ দল চায় কর্মজীবিদের জীবনমান উন্নয়ন৷ আগামী বুধবার এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷

আরএন/এসিবি