1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধূমপান করো না এবং মাংস খেয়ো না- এ কালের নীতিকথা

১৪ অক্টোবর ২০১০

ধূমপান করা, মদ্যপান করা, মাংস খাওয়া এবং সেক্স, জীবনের এই ধরণের অনেক প্রলোভনকেই এখন নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ আর সমাজের এইসব নতুন বাধা নিষেধের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন মনোবিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/PeAi
মাংস খাওয়া এ যুগে নেতিবাচকছবি: Koelnmesse

এই কয়েকদিন আগে জার্মানির মিউনিখে হয়ে গেলো অক্টোবর ফেস্ট৷ যেখানে প্রতিবছর দেখা যায় বিভিন্ন স্বাদের বিয়ার এবং চর্বিযুক্ত খাবারের ছড়াছড়ি৷ কিন্তু এবারই প্রথম উৎসব চত্বরটিকে ধূমপানমুক্ত রাখা হয়েছিলো৷ উৎসবে আগত অনেকেই ধূমপানমুক্ত এই পরিবেশকে পছন্দ করলেও অন্যরা বলেছেন অক্টোবর ফেস্টের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে এ বিষয়টি আসলে মানায়না৷

রবার্ট ফালার, ভিয়েনার একজন দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক পর্যবেক্ষক৷ তিনি বলছেন, ‘‘এই ২০ বছর আগেও ইউরোপের লোকজন সরকারের এই ধরণের কতৃর্ত্বপরায়ণ সিদ্ধান্ত পছন্দ করতে পারতোনা৷'' তিনি উচ্চমার্গের দর্শন দিয়ে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেছেন৷ বলছেন, মানুষ স্বভাবতই একটু বেপরোয়া আচরণ ও কাজ করতে পছন্দ করে৷ কিন্তু একই সময়ে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বাধানিষেধের কারণে এই আচরণকে নিজের মধ্যে সংবরণ করে স্বাভাবিক ব্যবহার করে থাকে৷

Frau mit Eis und Zigarette in Italien
ধূমপান যে ভালো না এই কথা তো সবারই জানাছবি: AP

তবে জার্মান পত্রিকা ‘ডি ভেল্ট'র একজন লেখক রিশার্ড হ্যারসিঙ্গার, বিষয়টিকে দেখেন অন্যভাবে৷ দু'বছর আগে তিনি একটি প্রতিবেদনে লিখেছিলেন, ধূমপান নিষিদ্ধ করা কেবল একজনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা ছাড়া আর কিছু না৷ তাঁর মতে, সমাজের নিম্নশ্রেনীর মানুষদেরকে পাবলিক প্লেস থেকে বের করে দেওয়ার জন্যই ধূমপান নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আসছে৷ তাঁর কথার মানে এমন দাঁড়ায় যে, মধ্যবিত্ত মানুষকে আলাদা করে রাখার জন্য ধূমপানকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, যারা সমাজের নিচু সারি থেকে উন্নতি লাভের সিড়িতে উঠতে ভয় পান৷

জার্মানির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান প্রচার করছে৷ যেখানে টেন কমান্ডমেন্টস'এর নীতিকথার আদলে বর্তমান সময়ের সর্বজন স্বীকৃত বিভিন্ন নীতিকথা মাংস খেয়োনা, মদ্যপান করোনা, মিথ্যা বলোনা, ধূমপান করোনা ইত্যাদি বলা হচ্ছে৷আর এই অনুষ্ঠানটর স্পন্সর করছে একটি সিগারেট কোম্পানি৷ এই অনুষ্ঠানটি এখনকার মিডিয়া ট্রেন্ডকেই তুলে ধরছে, যার ফলাফল কিন্তু স্পন্সর কোম্পানিগুলোর পণ্যকেই তুলে ধরা৷ তাই নীতিকথার পেছনের নীতিকেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন মনোবিজ্ঞানীরা৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক