1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন জার্মান প্রেসিডেন্ট আজ শপথ নিচ্ছেন

২ জুলাই ২০১০

মাত্র ৫১ বছরের তরুণতম জার্মান প্রেসিডেন্ট কিন্তু তাঁর নির্বাচনের পর পরই একাধিক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তাঁর ভবিষ্যৎ ভূমিকা এবং মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/O8fS
আজ রাজনীতিকদের মধ্যমণি, প্রেসিডেন্ট হয়ে রাজনীতির সংশ্রব ছাড়বেন না ভুল্ফছবি: AP

এআরডি, জেডডিএফ, আরটিএল এবং স্যাট-ওয়ান: চারটি বড় সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন সংস্থার সঙ্গে নিঃসঙ্কোচে কথা বলেছেন মনোনীত জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ তৃতীয় পর্বের ভোটে তাঁর নির্বাচনকে তিনি জার্মান সরকারের পরোক্ষ সমালোচনা বলে মানতে রাজি নন৷ বরং নির্বাচনী সভার প্রতিনিধিরা যে পার্টি হুইপে আবদ্ধ না থেকে, বিভিন্ন প্রার্থীদের মধ্যে তুলনা করতে পেরেছেন, সেটা তাঁর কাছে ‘‘আমাদের গণতন্ত্রের জন্য আদর্শস্বরূপ'', সরকারি জেডডিএফ টেলিভিশন সংস্থাকে বলেন ভুল্ফ৷

যুগপৎ তিনি তাঁর তারুণ্যের আরো একটি পরিচয় দেন, ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করে৷ জার্মান সরকারকে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জার্মান ফুটবল একাদশের মতো৷ ‘‘জাতীয় একাদশ আমাদের দেখিয়েছে, টীমওয়ার্কের মাধ্যমে কি করা সম্ভব৷ সকলেই একসঙ্গে কাজ করে, পরষ্পরকে বল দেয় এবং শেষমেষ গোল করে৷ রাজনীতিকরা এ'থেকে কিছুটা শিখতে পারে,'' অপর সরকারি টেলিভিশন সংস্থা আএরডি'কে বলেন ভুল্ফ৷

ভুল্ফ ঘোষণা করেন যে, তিনি রাজনীতিতে তাঁর কণ্ঠ রাখবেন৷ যেমন আজ শুক্রবার তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি জার্মানির জনসংখ্যাগত সমস্যার কথা বলবেন৷ যেন তারই জের টেনে তিনি জেডডিএফ সাক্ষাৎকারে অভিবাসী-বহিরাগতদের আরো নিবিড়ভাবে সমাজের অঙ্গ করে তোলার সপক্ষে বক্তব্য রাখেন৷ প্রেসিডেন্টের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য: ‘‘ফেডারাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বভাবতই আমি রাজনৈতিকভাবে অংশ নেব, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশ্নে, বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে - বিশেষ করে সেই সব প্রসঙ্গে, যেগুলি জাতীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়৷'' ঐ আরটিএল সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘‘অপরদিকে আমি গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত, জনসাধারণের মধ্যে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলির শিকড় নিয়ে চিন্তিত৷'' কাজেই তিনি রাজনীতিক এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতে চান৷

নতুন প্রেসিডেন্ট যেন এক নতুন চিন্তাধারা - এবং চিত্রকল্পের - আভাস দিয়েছেন জেডডিএফ'এ করা একটি মন্তব্যে: ‘‘আমরা অভিবাসী-বহিরাগত পটভূমিকার শিশুদের যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না, যে কারণে তারা স্কুলে ভালো ফল করে না৷ যেখানে জাতীয় একাদশে বোয়াটেং থেকে ওয়েজিল অবধি অন্তর্ভুক্তির কোনো সমস্যা নেই, সেখানে অন্যান্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা চলে না৷''

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই