1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-রাশিয়া যোগাযোগ

১৮ মে ২০১৭

এত সহজে নিস্তার পাচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এফবিআই প্রধান হিসেবে জেমস কোমি-কে বরখাস্ত করে রাশিয়ার ‘ভূত' তাড়ানোর আশা করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত উলটে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে৷

https://p.dw.com/p/2d90j
রবার্ট ম্যুলার
ছবি: Getty Images/A. Wong

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্প টিমের সঙ্গে রাশিয়ার অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ কমার বদলে আরও বেড়ে গেছে৷ কারণ,প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সে বিষয়ে তদন্তে বাধা দেবার চেষ্টা করে চলেছেন৷ এবার মার্কিন কংগ্রেসের চাপে বিচার মন্ত্রণালয় প্রাক্তন এফবিআই প্রধান রবার্ট ম্যুলারকে নিরপেক্ষ তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার সময়ে তিনি এফবিআই-এর প্রধান ছিলেন৷ সংস্থার বিশাল সংস্কার করে তিনি দলমতনির্বিশেষে শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছিলেন৷

রাশিয়ার প্রভাব সংক্রান্ত তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, অর্থ ও ক্ষমতা পাচ্ছেন রবার্ট ম্যুলার৷ এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তাঁকে বরখাস্ত করতে পারবেন না৷ তদন্তের ফলাফল সরাসরি বিচার মন্ত্রণালয়ের কাছে পেশ করবেন তিনি৷ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টিন এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা করে বলেন, মার্কিন জনগণ এবার তদন্তের ফলাফলের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারবেন৷ অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস নিজে ট্রাম্প টিমের সদস্য হিসেবে সন্দেহের পাত্র হওয়ায় নিজেকে রাশিয়া সংক্রান্ত তদন্ত থেকে দূরে রেখেছেন৷

এই খবর পেয়ে ট্রাম্প অন্তত প্রকাশ্যে শান্ত থাকার চেষ্টা করছেন৷ যদিও নেপথ্যে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে কিছু মহল দাবি করছে৷

তিনি নিজের টিমকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজে মন দেবার ডাক দিয়েছেন৷ এমনকি তিনি তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি নিজে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করে আসছেন, যাতে দ্রুত প্রমাণ হয়ে যায় যে, তাঁর নির্বাচনি প্রচারের সঙ্গে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক ছিল না৷ তবে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পর তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ আরও দানা বাঁধছে৷ বুধবার এক ভাষণে ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইতিহাসে কোনো রাজনীতিক তাঁর মতো বঞ্চনার শিকার হননি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)