1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন দায়িত্বে লোথার ম্যাথেউস

২২ সেপ্টেম্বর ২০১০

লোথার ম্যাথেউস জার্মান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক৷ বর্ণময় জীবন৷ সেই ম্যাথেউস এবার নতুন এক অ্যাসাইনমেন্টে৷ দায়িত্ব নিয়েছেন বুলগেরিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের৷

https://p.dw.com/p/PJJT
লোথার ম্যাথেউসছবি: dw-tv

বুলগেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি আজই এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ম্যাথেউসের নাম ঘোষণা করলেন নতুন কোচ হিসাবে৷ তাদের আশা নতুন এই কোচের কাছ থেকে অনেক কলাকৌশল শিখতে পারবেন খেলোয়াড়রা৷ ইউরো কাপের বাছাই পর্বে মন্টেনিগ্রোর কাছে হেরে যাবার পর বুলগেরিয়ার কোচ স্টানিমির স্টয়লভ পদত্যাগ করার পর তাঁর দায়িত্ব নেন জার্মান এই সাবেক খেলোয়াড়৷

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হচ্ছে, কোচ হবার এই চুক্তির আর্থিক পরিমাণের বিষয়ে তাদের কাছে মুখ খোলেননি লোথার ম্যাথেউস৷ কেবল বলেছেন, এটা প্রাথমিক ভাবে এক বছরের চুক্তি৷ তবে প্রয়োজনে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়তে পারে আরও এক বছর৷

লোথার ম্যাথেউস তাঁর ফুটবলার জীবন শুরু করেন মিডফিল্ডার হিসাবে৷ ৯০-এর বিশ্বকাপ বিজয়ী দলের কাপ্টেন৷ ১৯৯১ সালে ফিফার নিরীক্ষায় বর্ষসেরা খেলোয়াড়৷ ম্যাথেউস নতুন এই দায়িত্বের আগে কোচ হিসাবে ছিলেন ইসরায়েলের একটি ক্লাবে৷

খেলা থেকে অবসর নেয়া ৪৯ বছর বয়স্ক এই খেলোয়াড়ের জীবনে নানা ছন্দপতন হয়েছে৷ বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে সংবাদ শিরোনাম হতে হয়েছে অনেক বার৷ চারবার বিয়ে করেছেন৷ তিন সন্তান এখন তাঁর৷ তিনি প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮১ সালে৷ সিলভিয়া মানে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় ১৯৯২ সালে৷ তখন তাদের ঘরে দুই কন্যা৷ ১৯৯৪ সালে তিনি বিয়ে করেন সুইস নাগরিক লোলিটাকে, যিনি সে সময়ের সাড়া জাগানো মডেল কন্যা৷ এই বিয়েটা টিকে ছিল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত৷ এ ঘরে আছে এক ছেলে৷ এরপর সার্বিয়ান বংশোদ্ভুত মারিয়ানাকে বিবাহ করেন ২০০৩ সালে৷ চার বছর পর ছাড়াছাড়ি৷ এরপর ম্যাথেউসের জীবনে আসে নতুন নারী৷ নাম ক্রিস্টিনা, বয়স ২১৷ ২০০৮ সালে হয় তাদের বিয়ে৷ না টিঁকে থাকছে না এই বিয়েও৷ এ বছরের শুরু থেকে দুই জন পৃথকভাবে বসবাস করছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী