1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন দিল্লিতে চলছে সার্ক সাহিত্য সম্মেলন

২৭ মার্চ ২০১০

‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ কালচারাল রিলেশন্স’ এবং ‘সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার ফাউন্ডেশন’এর যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার থেকে নতুনদিল্লিতে শুরু হয়েছে সার্ক সাহিত্য সম্মেলন৷ যোগ দিয়েছেন ৮টি সার্ক দেশের প্রতিনিধিরা৷

https://p.dw.com/p/Mftr
ছবি: DW/Rao-Erdem

সার্ক সাহিত্য উত্সবের উদ্বোধনী ভাষণে বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক বিষিয়ে তুলেছে রাজনৈতিক মতভেদ ও অসহিষ্ণুতা৷ এর উপশমের মহৌষধ হলো সাহিত্য ও সংস্কৃতির আদান প্রদান৷ কেউ বললেন, পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে মানব সম্পদের পাশাপাশি জোর দিতে হবে প্রকৃতি ও পরিবেশের দিকে৷ সেই লক্ষ্য পূরণে সার্ক সাহিত্য সভা এক বড় পদক্ষেপ – ডয়চে ভেলেকে বললেন ভারতের বিখ্যাত উর্দু কবি ও গীতিকার গুলজার৷ ‘‘ভুললে চলবেনা একই সংস্কৃতির ধারক আমরা৷'' সাহিত্য সভার উদ্বোধনী ভাষণেও এসে পড়ে রাজনৈতিক দূষণের কথা৷ ‘‘আফগানিস্তানে সরকারি নীতির তোয়াক্কা না করে ভারত ও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যৌথ উদ্যোগে শুরু করেছে ব্যবসা৷ সরকার না জানলেও আমি জানি''– ডয়চে ভেলেকে বললেন পাকিস্তানের নামকরা সাংবাদিক হামিদ মীর৷ মূল্যবোধের অবক্ষয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেন ডয়চে ভেলের কাছে বাংলাদেশের লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক সৈয়দ শামসুল হক৷ বললেন, ‘‘যেদিকে তাকাই, দেখি মূল্যবোধের ক্ষয়িষ্ণু চেহারা৷ যে মূল্যবোধ নিয়ে ভারত নামক রাষ্ট্রের পত্তন হয়েছে, যে মূল্যবোধের কথা মহাত্মা গান্ধী,জহরলাল বলে গেছেন, সেই মূল্যবোধ কি আজ আমরা জনজীবনে দেখতে পাচ্ছি? সম্ভবতঃ না৷ এখানেও যখন জঙ্গিবাদের উত্থান, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প, রাম জন্মভূমি, বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে৷ এসব নিয়ে নিয়ে যখন ভাবি তখন দেখি, যে ভারতকে আমরা দেখেছিলাম মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরুর আমলে তা আর নেই৷ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ নিয়ে যে ভূখণ্ড মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নে যা ছিল তা যেন হারিয়ে গেছে৷''

‘‘সার্ক সাহিত্য উত্সব প্রতিবেশি দেশগুলির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে সহায়ক হবে সন্দেহ নেই'', ডয়চে ভেলেকে বললেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখিকা পাপড়ি রহমান৷ ‘‘প্রকৃতি ও পরিবেশ সারা বিশ্বে আজ সাহিত্যের এক বড় উপাদান, অথচ সাহিত্য সভায় সেটাকে ছাপিয়ে উঠলো রাজনৈতিক সুর৷ এটা মেনে নেওয়া কঠিন'' – ডয়চে ভেলের কাছে উষ্মা ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশের অধ্যাপিকা ও লেখিকা ঝর্ণা রহমান৷ রাজনীতি ও সংস্কৃতির বিপ্রতীপ অবস্থানের কথা তুলে লেখক সাংবাদিক নিতুপূর্ণা র মন্তব্য, ‘‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াকে রাজনীতিকরা স্বাগত জানালেও লেখক-সাংবাদিকরা মনে প্রাণে তাকে স্বাগত জানাতে পারেন নি৷''

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন