নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানে নিন্দার ঝড়
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০অবশ্য, বৃহস্পতিবারের অভ্যুত্থানের সমর্থনে উল্লাস করে পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ৷ রাজধানী নিয়ামির সেনানিবাসের বাইরে সমবেত হয়ে জনগণকে সৈন্যদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে দেখা গেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো এই খবর দিয়েছে৷ পশ্চিমের শহর ডসো এবং তাহুয়াতেও সামরিক শাসকের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জনগণকে উল্লাস করতে দেখা গেছে৷ নতুন সামরিক সরকারের মুখপাত্র কর্নেল গোকোই আব্দুলকরিম জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পরপরই যে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছিল তা শিথিল করা হয়েছে৷
এছাড়া মামাদৌ টাঞ্জাকে আটক এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়ার পর দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে জনগণের চলাচলের উপর কোন কড়াকড়ি নেই৷ তাঁর মতে, ‘‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷'' এছাড়া অভ্যুত্থানের একদিন পর সাংবাদিকদের সামনে প্রথম মুখ খুলেছেন জান্তা শাসক মেজর সালু জিবো৷ তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে একটি পরামর্শ পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এখনও নিশ্চুপ মেজর জিবো৷
আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি এবং নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি মাল সেবুজ্জা ক্যাটেন্ডে বলেন, ‘‘আজ থেকে আমাদের কর্মকাণ্ডে নাইজারের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা সেখানকার অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছি এবং নাইজারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি৷ আফ্রিকান ইউনিয়নের সকল কর্মকাণ্ডে নাইজারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷'' এছাড়া গত আগষ্ট মাসে অনুষ্ঠিত গণভোটের পূর্বের সংবিধানের দিকে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে এইউ৷ ঐ গণভোটের মাধ্যমে মামাদৌ টাঞ্জা সারাজীবনের জন্যে ক্ষমতায় থাকার সাংবিধানিক অধিকার লাভ করেন৷
এদিকে, এইউ এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে৷ দ্রুত গণতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা৷ নাইজারের সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক দেশ ফ্রান্স সেখানে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছে৷ সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন