1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাগপুর টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থায় ভারত

২৩ নভেম্বর ২০১০

নাগপুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে নিজেদেরকে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছে ভারত৷ রাহুল দ্রাবিড় আর ধোনির ব্যাটিং শৌর্য দেখল স্টেডিয়াম৷ কিন্তু শচীনের ৫০ তম সেঞ্চুরি এল না এখানেও৷

https://p.dw.com/p/QFg0
শচীনের পঞ্চাশ সেঞ্চুরি এখানেও হল নাছবি: UNI

রাহুল দ্রাবিড়কেই কিউয়িদের শোচনীয় পরিস্থিতির স্থপতি বলা যেতে পারে৷ দ্রাবিড়ের ৩১ তম টেস্ট সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরিটা মাত্র নটা রানের জন্য ফস্কে যাওয়া৷ গোটা মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি হাঁকানো৷ উইকেটে দশ ঘণ্টা টিকে থাকার ধৈর্য৷ তৃতীয় দিনের খেলার কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলা উচিত, জানিনা৷ তবে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিংটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল সোমবার৷ কারণ ধোনির ৯৮ রানের ঝোড়ো আর শক্তিশালী ইনিংসটা ভারতকে লড়াইয়ে যেমন ফিরিয়েছে, তেমনই আবার ধোনির ব্যাট থেকে বারোটা বাউন্ডারি আর একটা ছক্বার ফুলঝুরি দর্শকদের আনন্দও কম দেয়নি৷

নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছিল ১৯৩ রানে৷ জবাবে ভারতের সংগ্রহ ছিল রবিবার পর্যন্ত ২৯২- ২ উইকেটে৷ সোমবারের শেষে স্কোরবোর্ডে ভারত ৮ উইকেটে ৫৬৬ রান তুলে ডিক্লেয়ার করেছে৷ দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৪৷ তবে ইতিমধ্যেই যেহেতু হরভজন সিং-এর স্পিনের তাণ্ডব শুরু হয়ে গেছে, অতএব প্রত্যাশাটা স্পষ্ট যে এই টেস্ট জিতে সিরিজ ঘরে তুলে নিতে বেশ এগিয়েই রয়েছে ভারত৷

শচীনের পঞ্চাশ সেঞ্চুরি এখানেও হল না বলে আক্ষেপে গোটা মাঠ তো বটেই, বিশ্বজুড়ে শচীনের লক্ষ কোটি ভক্তের মনে রয়েছে৷ নতুন টেস্ট খেলতে নামা কিউয়ি বোলার ম্যাকের বলে ৬১ রানের মাথায় হপকিন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন শচীন৷ গোটা মাঠে তখন পিনপতন নৈঃশব্দ ছিল৷ শচীন ভক্তরা মাঠে সোমবার তৈরি হয়েই এসেছিলেন, কিন্তু ঘটনা ঘটল না৷ নাগপুরের আর হল না এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকা৷ তবে খেলার শেষে এই নিউজিল্যান্ডীয় বোলার ম্যাক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, গোটা ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, জাতীয় স্বপ্নকে মেরে ফেলার জন্য৷ এও ইতিহাস৷ টেস্টম্যাচে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে আউট করে কোন বোলার কী তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কোনদিন? শচীন তেন্ডুলকর যে আসলে ক্রিকেটের কোন উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন, এই ঘটনা কারও একটা প্রমাণ বৈকি!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন