1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

২০ ডিসেম্বর ২০১০

দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পায়নি বাংলাদেশের নাবিকরা৷ তাদের আত্মীয়-স্বজনের দাবি জাহাজ মালিক হাত-পা ছেড়ে বসে আছেন৷ তবে নৌ-মন্ত্রী বলেছেন, তাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে৷

https://p.dw.com/p/Qg93
ফাইল ছবিছবি: DW

ডেবরাইল শিপিংয়ের মালিকানাধীন এম ভি জাহান মনি জাহাজটিকে গত ৫ই ডিসেম্বর বিকেলে আরব সাগর থেকে ছিনতাই করে সোমালীয় জলদস্যুরা৷ ওই জাহাজে ২৬ জন বাংলাদেশি নাবিক ও একজন নাবিকের স্ত্রী রয়েছেন৷ ৪৩ হাজার টন নিকেল সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে৷ জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নেয়ার পর ১২ই ডিসেম্বর ফোনে নাবিকদের সঙ্গে বাংলাদেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে কথা বলার সুযোগ করে দেয় জলদস্যুরা৷ এসময় তারা ৬২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে৷

তারা ৫ দিনের মধ্যে মুক্তিপণ চায়, অন্যথায় নাবিকদের হত্যার হুমকি দেয়৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত নাবিকদের উদ্ধারে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে অপহৃত নাবিকদের আত্মীয়-স্বজন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করছেন৷ তাঁরা জানান, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আপনাদের কাছে টাকা থাকলে উদ্ধার করে আনেন৷'

সংবাদ সম্মেলনে নাবিকদের স্ত্রী, সন্তান এবং আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ তাঁরা নাবিকদের উদ্ধারে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেন৷ এজন্য মেরিটাইম অর্গানাইজেশনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা নেয়ার কথা বলেন তাঁরা৷ তাঁদের মতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া নাবিকদের উদ্ধার করা সম্ভব নয়৷

নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি বলেছেন, সরকার নাবিকদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু সোমালিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না৷ প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে নৌ-মন্ত্রী জানান৷ তিনি স্বজনদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান৷

নবিকদের আত্মীয় স্বজন জানান, জলদস্যুরা এখনো জাহাজের খাবার দিয়ে চলছে৷ খাবার প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ খাবার শেষ হয়ে গেলে নাবিকদের তারা আস্তানায় নিয়ে যাবে৷

গত এক বছরে বিভিন্ন দেশের ৩৫টি জাহাজ ছিনতাই করেছে সোমালীয় জলদস্যুরা৷ জিম্মি করেছে ৬৫০ জন নাবিককে৷ তাদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি নাবিকও রয়েছেন৷ তবে বাংলাদেশি কোন জাহাজ এই প্রথম জলদস্যুদের কবলে পড়ল৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই