1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর কান্না পুরুষের যৌন আগ্রহ কমায়

৮ জানুয়ারি ২০১১

ভেবে বসবেন না, নারী কাঁদলেই বুঝি পুরুষের মন গলে যায়৷ না, এমনটা সবক্ষেত্রে ঠিক নয়৷ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নারীর কান্না পুরুষকে সবসময় কাতর করতে পারে না৷ তবে, এই কান্নার এক ভিন্ন প্রভাব রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/zv43
যৌন আবেদনের বিষয়ে বেশ খানিকটা কম আগ্রহই দেখিয়েছে কান্না শোঁকা পুরুষরা (প্রতীকী ছবি)ছবি: bilderbox.de

ইসরায়েলি গবেষকদলের কাছে নিজেদের কান্না ‘দান' করেছিলেন কয়েকজন নারী৷ মনের দুঃখে বা ব্যথা দিয়ে কাঁদানো হয়নি তাদেরকে৷ বরং একটি বিষন্ন সিনেমা দেখে তাদের এই কান্না৷ গবেষকরা, নারীর কান্না জমা করেন কার্পাস তুলায়৷ এরপর তা নিয়ে যান ১২ পুরুষের নাকের কাছে৷ পুরুষদের কাজ ছিল এই অশ্রু ভেজা তুলার গন্ধ বা সুবাশ গ্রহণ করা৷

যারা এই তুলা শুঁকেছেন তারা কিন্তু জানতেন না এটা কোন নারীর কান্না৷ তাই, নেহাত নিরপেক্ষ এক ফল পান গবেষকরা৷ দেখা গেল, কান্না শুঁকে পুরুষদের মধ্যে বেশ খানিকটা পরিবর্তন ঘটছে৷ তাদের হৃদকম্পন, ত্বকের তাপমাত্রা, শ্বাসক্রিয়ায় পরিবর্তন লক্ষ্য করেন গবেষকরা৷

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল, কান্না শুঁকে পুরুষের টেস্টোস্টেরোন নিঃসরণের মাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে ১২ শতাংশ কমে যায়৷ তবে, এতসব শারীরিক পরিবর্তন হলেও কান্নার গন্ধ শুঁকে কোন পুরুষই বিমর্ষ হননি৷

গবেষণার খাতিরে গবেষকদল একই সময় বেছে নিয়েছিলেন আরো ১২ পুরুষকে৷ তাদেরকে শুঁকতে দেয়া হয়েছিল স্যালাইনে ভেজানো তুলা৷ বলাবাহুল্য গন্ধ শুঁকে এসব পুরুষের মধ্যে কোন ধরনের পরিবর্তন আসেনি৷ বরং তাদেরকে নারীর ছবি দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় কে বেশি যৌন আবেদনময়ী৷ দেখা গেলো, স্যালাইন শোঁকা পুরুষরা বেশ আগ্রহ নিয়েই নারীদের সম্পর্কে মত দিতে শুরু করলেন৷ অন্যদিকে, যৌন আবেদনের বিষয়ে বেশ খানিকটা কম আগ্রহই দেখিয়েছে কান্না শোঁকা পুরুষরা৷

ইসরায়েলি গবেষকরা অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসায়ও কাজে লাগবে তাদের এই গবেষণার ফলাফল৷ বিশেষ করে, প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা হয় টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা কমিয়ে৷ কান্না থেরাপি সেক্ষেত্রে কাজ আসতে পারে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা