1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাৎসিদের বিচারে সর্বোচ্চ সফলতার স্বীকৃতি পেল জার্মানি

১৫ এপ্রিল ২০১০

নাৎসি আমলের অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়ে আসা এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাফল্যের স্বীকৃতি পেয়েছে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/MwcO
লস অ্যাঞ্জেলেস-এ জিমন ভিজেনথাল সেন্টারছবি: Simon Wiesenthal Center

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের নাৎসী অপরাধীদের বিচারের জন্য কর্মরত ইহুদিদের সংগঠন ‘জিমন ভিজেনথাল সেন্টার' এক্ষেত্রে জার্মানিকে দিয়েছে ‘এ' গ্রেড৷

অস্ট্রিয়ায় ইহুদি নিধনযজ্ঞের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া নাৎসি হান্টার বলে পরিচিত জিমন ভিজেনথালের নামেই এই সেন্টারটির নামকরণ৷ জেরুসালেম এবং লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তিক এই সংগঠনটি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর তৎপরতা নিয়ে প্রকাশ করেছে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন৷ জেরুসালেমের ইয়াদ ভাশেম হলোকস্ট মেমোরিয়াল সেন্টারে ইহুদি নিধনযজ্ঞের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হয় এই প্রতিবেদন৷

সংগঠনটির প্রধান এফ্রাইম সুরোফ জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ'কে বলেন, ‘‘এই বিচার প্রক্রিয়ায় জার্মানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘জার্মানি এখন অ-জার্মান নাৎসি সদস্যদেরও তাদের দেশে বিচার করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে, যা আগে কখনও ঘটেনি৷'' এছাড়া ইহুদি নিধনযজ্ঞের সময় যারা কর্মকর্তা নয়, বরং নিম্নশ্রেণীর কর্মী ছিল, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে বার্লিনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন সুরোফ৷

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি রাষ্ট্রপ্রধান শিমন পেরেস এবং প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন৷ ছিলেন ঐ ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবান নারী-পুরুষ এবং হলোকস্টের শিকার ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন ৷ নাৎসি বাহিনী এবং তাদের দোসরদের হাতে নিহত ৬ মিলিয়ন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিধনযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া ৬ জন প্রাণপুরুষ ৬টি আলোকবর্তিকা জ্বালান এই অনুষ্ঠানে৷

এই উপলক্ষ্যে বক্তৃতায় ইসরায়েলি নেতৃবৃন্দ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান৷ এছাড়া ইহুদি নিধনযজ্ঞে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বিসর্জনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়৷ উল্লেখ্য, বিশ্ব যুদ্ধের আগে এবং পরে সবমিলিয়ে ইউরোপের নয় মিলিয়ন ইহুদি জনগোষ্ঠীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশকেই হত্যা করেছিল নাৎসি বাহিনী এবং তাদের দোসররা৷

প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক