নিখোঁজদের খুঁজে না পাওয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা? | পাঠক ভাবনা | DW | 08.07.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

নিখোঁজদের খুঁজে না পাওয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা?

বিদেশি হত্যায় উদ্বুদ্ধ করতে জঙ্গিদের কারা, কোথায় টেনিং দিয়েছে? নিখোঁজ ছেলেদের খুঁজে না পাওয়া কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা নয়? গুলশানে জঙ্গি হামলার পর এ রকম প্রশ্ন অনেকেরই৷ তাঁদেরই একজনের মন্তব্য এখানে তুলে দেয়া হলো৷

বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ এবং নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার ঘটনার সাথে কারা জড়িত? সন্দেহভাজন নিহত পাঁচ জঙ্গির তিনজনই ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ুয়া তরুণ৷ তারা ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান৷ বাকি দু'জনও কলেজ-পড়ুয়া৷ অথচ আগে কথায় কথায় জঙ্গি খোঁজা হতো মাদ্রাসা আর মসজিদে৷ প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং ভোরের কাগজের মতো পত্রিকাগুলো অহরহ কাল্পনিক জঙ্গি আস্তানা এবং ট্রেনিংক্যাম্প আবিষ্কার করে থাকে নামি-দামি কওমী মাদ্রসা গুলোতে৷

কোনো একটা ঘটনা ঘটলেই নিপীড়নের শিকার হতেন টুপি-দাড়িওয়ালা মাদ্রাসা ছাত্র আর আলেমরা৷ মাদ্রাসা শিক্ষা ও আলেমদের কলঙ্কিত করার জন্য হেন প্রচারণা নেই, যা চালানো হয়নি গত এক দশকের বেশি সময় ধরে৷ কিন্তু মাদ্রাসার সিলেবাসে কোরআন-হাদিস এথকে শিক্ষা দেয়া হয়৷ শেখানো হয় মানবতা এবং মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করতে৷ সমানাধিকার আর সহমর্মিতা শিক্ষাও দেয়া হয় সেখানে৷
প্রশ্ন হলো, যাদের মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম আছে, তারা কি কখনো নিজের দেশে বিদেশিদের হত্যা করতে পারে???

বিদেশিরা হলেন মেহমান৷ বাংলাদেশে বিদেশি মেহমানদের হত্যা করলে লাভবান হবে কোন দেশ? গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিদেশি ক্রেতাদের হত্যা করলে কার লাভ বেশি?

বিদেশি হত্যার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে জঙ্গিদের কারা টেনিং দিয়েছে? কোথায় হয়েছে তাদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ? নিশ্চয়ই একদিনে তাদের প্রশিক্ষণ হয়নি৷ গুলশান-বনানী এলাকার রাস্তায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে৷ ঘটনার আগে নিশ্চয়ই জঙ্গিরা সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টে আসা-যাওয়া করেছেন৷ নিখোঁজ এই ছেলেদের আসা-যাওয়ার পথে বসানো সিসি ক্যামেরায় দেখেও কেন তাহলে চিনতে পারছে না পুলিশ? এই নিখোঁজ ছেলেদের খোঁজ না পাওয়া কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটা বড় ব্যর্থতা নয়?

নিহতদের পরিবারের দাবি অনুযায়ী, এরা সকলেই ৫-৬ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন৷ এমনকি স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছেও ধরনা দিয়েছেন একজনের পিতা৷ এই তো ক'দিন আগে দু'সপ্তাহ ধরে চিরুনি অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হলো৷ তা তাতে এই সব জঙ্গিদের খুঁজে বের করা হলো না কেন?

এ সব নানা প্রশ্ন ডয়চে ভেলের ফেসবুকে তুলে ধরেছেন পাঠক জাহির উদ্দিন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন