1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী স্পেন

৩১ মে ২০১০

এবারের বিশ্বকাপে স্পেনের সম্ভাবনা কেমন ? জবাবে বেশিরভাগ লোকই স্পেনের পক্ষে বাজি ধরবেন৷ কিন্তু প্রতিবার ফেভারিট হলেও ভাগ্যের কাছেই যেন হেরে যায় স্প্যানিশরা৷

https://p.dw.com/p/Ndug
স্প্যানিশ ফ্যানছবি: AP

তবে দুই বছর আগে ইউরো কাপ জেতার পর তাদের সেই দুর্ভাগ্যের দিন বোধহয় শেষ হতে চলেছে৷ প্রতিবারের মত এবারও একঝাক তারকা নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামছে ডেল বস্কের দল৷ নিজেদের তাই ফেভারিটদের মধ্যেই রাখতে চান স্পেনের কোচ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ফেভারিটদের মধ্যে আছি বলেই আমার ধারণা, কারণ গত বেশ কিছুদিন ধরে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি যার মধ্যে ইউরো কাপও রয়েছে৷ তবে আমরা ছাড়াও আরও অনেক শক্তিশালী দল রয়েছে৷''

স্পেনের জাতীয় দলে এবার মূল তারকা তাদের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস৷ আরও রয়েছেন মিডফিল্ডার জাভি এবং জাবি৷ রয়েছেন ইউরো কাপের সর্বোচ্চ স্কোরার ডেভিড ভিলা৷

Fußball Euro 2008 Finale Deutschland Spanien Pokal
দলের মূল তারকা গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসছবি: AP

এদিকে, বিশ্বকাপ ফুটবল যতই এগিয়ে আসছে ততই এর ফুটবল নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে৷ বিশেষ করে গোলরক্ষকদের কাছে যেন চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে যে দক্ষিণ আফ্রিকার জাবুলানি৷ মাত্র দুইদিন আগে ব্রাজিলের গোলরক্ষক হুলিও সিজার বিশ্বকাপের ফুটবল দেখে বলেছেন, এটি যে সুপার মার্কেটের কোন সস্তা ফুটবল৷

আর আজ স্পেনের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস বলেই বসলেন, এটা যতটা না ফুটবল, তার চেয়ে বেশি বিচবল৷ তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্র্যাভো৷ তিনিও বলেছেন, জাবুলানি ফুটবলটিকে দেখলে আসলে বিচ ভলিবলের কথাই মনে হয়৷ তিনি বলেছেন, এটা খুবই দ্রুত এবং ধরতে সমস্যা হয়৷ অন্যদিকে, ক্যাসিয়াসের মন্তব্য, বিশ্বকাপের মত এমনটি একটি আসরে এই ধরণের অতি খারাপ ফুটবল সত্যিই দুঃখজনক৷ তবে তার দলের খেলোয়াড় জাভি হার্নান্দেজ বলে দিয়েছেন কিছু করার নেই, এই বলেই অভ্যস্ত হতে হবে গোলরক্ষকদের৷ উল্লেখ্য, ম্যাচগুলোতে যাতে গোলের সংখ্যা বাড়ে সেজন্য ফুটবলে নানা ধরণের পরিবর্তন আনতে আগ্রহী ফিফা৷ আর প্রতি বিশ্বকাপের আগেই তাই দেখা যায় গোলরক্ষকদের অভিযোগের ফিরিস্তি৷

Deutschland Fußball WM 2010 Joachim Löw und Andreas Köpke Pressekonferenz in in Eppan
বিশ্বকাপের বল নিয়ে দুশ্চিন্তা গোলরক্ষকদেরছবি: picture alliance/dpa

এদিকে, বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোতে নতুন ফরম্যাটের পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে বড় দলগুলো৷ আর তাতে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছে না কেউ৷ যেমন ইংল্যান্ড, রোববার জাপানের বিরুদ্ধে নতুন ৪-২-৪ ফরম্যাটে ম্যাচটি প্রায় হারতেই বসেছিল তারা৷ কিন্তু জাপানের দুই দুইটি আত্মঘাতী গোলের কল্যানে ২-১ এ ম্যাচটি জিতে গেছে ফাবিও কাপেলো৷ প্রথমে তুলিও তানাকার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জাপান, কিন্তু পরে তিনি নিজে ও ইউজি নাকাজাওয়া আত্মঘাতী গোল করে বসেন৷ অন্যদিকে, নতুন ৪-৩-৩ ফরম্যাটে খেলতে নেমে তিউনিসিয়ার মত দলের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছে ফ্রান্স৷ খেলা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মাথায় তিউনিসিয়ার ইসাম জেমা গোল করে বসেন৷ তবে ৬৩ মিনিটে উইলিয়াস গালাসের গোলে পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয় ফ্রান্স৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ