নিরাপত্তার চাদরে কমনওয়েলথকে মুড়েছেন চিদাম্বরম
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০গেমস ভিলেজ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া
পরিস্থিতি মোটের ওপর নিয়ন্ত্রণেই৷ অন্তত গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রশংসার বাক্য শোনা গেছে মঙ্গলবারও৷ মঙ্গলবার গেমস ভিলেজে অ্যাথলিট, খেলোয়াড় ইত্যাদিদের চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে নিরাপত্তা কর্মী৷ পুলিশ কুকুর, এইসব৷ একেবারে কড়া নিরাপত্তায় গেমসকে মুড়ে দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের স্বরাষ্ট্রদপ্তর৷ দিল্লী পুলিশের সঙ্গেই এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীও দায়িত্ব নিয়েছে গেমসের নিরাপত্তা রক্ষার৷ দিল্লী পুলিশের ৮০ হাজার কর্মী ছাড়াও যোগ দিয়েছে ১,৭৫০০০ আধাসেনা এবং তিন হাজার এসজি বা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনী৷ আকাশ থেকে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ইউভি বিমান, যা উড়তে দেখা যাচ্ছে দিল্লীর আকাশে৷ সন্দেহজনক কিছু আকাশে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে গুলি করে নামানোর জন্য দেড়শো সেনা জওয়ানের ‘স্পেশ্যাল ওয়েপনস ট্যাকটিক্স টিম' তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ সব মিলিয়ে সাজসাজ রব৷
নিরাপত্তা কারণ জঙ্গি হামলার হুমকি
কারণ জঙ্গিদের হুমকি৷ এই গেমসের ওপর হামলা চালাবার হুমকি অনেকদিন আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে জঙ্গিরা৷ বিশেষ করে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামের জঙ্গিগোষ্ঠীর হুমকি রয়েছে বিশেষ করে কমনওয়েলথ গেমসে হামলা চালাবার বিষয়ে৷ সেসব ঠেকানোর ব্যাপার তো আছেই৷ সুতরাং গেমসের নিরাপত্তা ছাড়াও দিল্লী শহরের পথে পথে একশোটি ‘অ্যান্টি সাবোট্যাজ টিম' বা সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র ঠেকানোর বিশেষ প্রশিক্ষিত দল ঘুরে বেড়াচ্ছে ছদ্মবেশে৷
চার দেশের অ্যাথলিটদের বিশেষ নির্দেশ
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যন্ড আর ক্যানাডা৷ এই চারটি দেশের ওপর হামলার ভয় সবচেয়ে বেশি৷ জঙ্গিরা এদের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করতে পারে এই আশঙ্কায় এই দেশগুলি তাদের অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটদের খেলার বাইরে নিজেদের দেশের জার্সি না পরার নির্দেশ জারি করেছে৷ উদ্দেশ্য, হামলাকারী জঙ্গি যাতে সনাক্ত করতে না পারে কে কোন দেশের খেলোয়াড়৷ তবে গেমস ভিলেজের অভ্যন্তরের নিরাপত্তা নিয়ে সকলেই খুশি৷ অধিকাংশ দেশের তরফে এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম