1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নিরাপত্তা কেন্দ্র’ নতুন করে সাজালো ফেসবুক, বিশেষ বোতাম নেই

১৪ এপ্রিল ২০১০

অবশেষে ফেসবুকের ‘নিরাপত্তা কেন্দ্র’-এ বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে৷ জনপ্রিয় এই সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে প্রতারণা, শিশু নিগ্রহসহ নানা অপকর্ম ঠেকাতে ফেসবুকের এই উদ্যোগ৷ তবে, তাতেও সন্তুষ্ট নয় অনেকে৷

https://p.dw.com/p/Mvxt
ফাইল ফটোছবি: AP

ফেসবুক মঙ্গলবার জানায়, সংস্থাটির অনলাইন নিরাপত্তা কেন্দ্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষক, নিরাপত্তা বাহিনী, অভিভাবক, এমনকি তরুণ-তরুণীরা কিভাবে ফেসবুকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তা আরো বিশদভাবে যোগ করা হয়েছে সেখানে৷ একইসঙ্গে নিরাপত্তা কেন্দ্রের প্রায় সব বিভাগেই ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড সবসময় গোপন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, সন্দেহভাজন কাউকে কিভাবে ব্লক করা যায়, তারও বিশদ বিবরণ যোগ করা হয়েছে নিরাপত্তা কেন্দ্রের নতুন সংস্করণে৷

অবশ্য এসবের বাইরেও সেখানে জায়গা করে নিয়েছে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সংস্থার ফোন নম্বর, একইসঙ্গে ফেসবুকে নিবন্ধিত যৌন অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে জানাতে যোগ হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা৷

ঢেলে সাজানো এই নিরাপত্তা কেন্দ্র প্রসঙ্গে ফেসবুকের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সালিভান জানান, ফেসবুক নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রথমেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে৷

তিনি বলেন, ফেসবুক এমন একটি পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধ পরিকর যেখানে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে ও তথ্য আদান প্রদানে সক্ষম হবে৷

অবশ্য ফেসবুকের নতুন এই উদ্যোগের পরও সন্তুষ্ট নয় ব্রিটেন৷ দেশটির শিশু অপরাধ প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি ছিল, ফেসবুকে বিশেষ ‘আতঙ্ক বোতাম' যোগ করতে হবে৷ এই বোতামে চাপ দিয়ে যেকেউ প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবে৷ আর তাই, এই বোতাম যোগ করার জন্য ফেসবুকের কাছে পুনরায় অনুরোধ করেছে ব্রিটেনের পুলিশ বাহিনীর ৪৪ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা৷

অবশ্য ব্রিটেনে ফেসবুক নিয়ে এমন আলোড়নের কারণও রয়েছে৷ কিছুদিন আগে সেখানে এক তরুণীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে এক ব্যক্তি৷ এরপর থেকে ব্রিটেনের সরকার ফেসবুকে শিশু ও তরুণ-তরুণীদের নিরাপত্তা বাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক