1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা পরিষদে নতুন সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে হিসাব-নিকাশ

২ জানুয়ারি ২০১১

চলতি সপ্তাহেই নিরাপত্তা পরিষদে নতুন সদস্য হিসেবে আসন নিতে যাচ্ছে ভারত, জার্মানি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা৷ তবে স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো ক্ষমতা ডিঙ্গিয়ে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে আগ্রহী এসব সদস্য রাষ্ট্র?

https://p.dw.com/p/zsbx
UNO, Members, United Nations, Security Council, meeting, headquarters, New York, নিরাপত্তা, পরিষদ, নতুন, সদস্য, ভূমিকা, হিসাব-নিকাশ, জাতিসংঘ, India, Germany, South Africa, ভারত, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা,
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদছবি: AP

দক্ষিণ আফ্রিকা

জাতিসংঘে দক্ষিণ আফ্রিকার দূত বাসো সাংকু অবশ্য বলছেন যে, নিরাপত্তা পরিষদে অচলাবস্থার সৃষ্টি হোক, তা নতুন সদস্যরা কেউই চায় না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা এক সুরে কথা বলতে চাই৷ ফলে পরিষদ তাতে যেভাবেই সাড়া দিক না কেন, তার একটি যৌথ প্রভাব থাকবে বলে আমরা আশা করি৷'' তবে একইসাথে আফ্রিকার স্বার্থগুলো বেশি করে নিরাপত্তা পরিষদে তুলবে দক্ষিণ আফ্রিকা বলে উল্লেখ করেন সাংকু৷

নিরাপত্তা পরিষদকে যেসব সংঘাত ও সংকট নিয়ে কাজ করতে হয় তার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আফ্রিকায়৷ ‘‘তবে এটা নিয়ে গর্ববোধ করার কিছু নেই,'' বলেন তিনি৷ এই মাসের ৯ তারিখেই সুদানে গণভোট৷ এটিই হবে প্রথম পরীক্ষা৷ তবে দক্ষিণ সুদানে ভোটের পর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় অংশেই পুনর্বাসনের কাজে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে আরো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, বলেন সাংকু৷ এছাড়া তাঁর মতে, মরক্কো ও পশ্চিম সাহারার বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত এবং সোমালিয়ার পরিস্থিতিকেও গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে৷

ভারত

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের অভিলাষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমর্থনে খুশি ভারত৷ জাতিসংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত হরদ্বীপ সিং পুরি বলেছেন, সার্বিক লক্ষ্যমাত্রার দিক থেকে নতুন এবং পুরনো সবজাতিই একই অবস্থানে দাঁড়াবে৷ তবে মতামতের সূক্ষ্ম তারতম্যের ক্ষেত্রে সবাই অত্যন্ত গঠনমূলক অবস্থানের পক্ষেই থাকবে৷ সাধারণত কোনো একক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলির ক্ষেত্রে বিপক্ষেই ভোট দিয়ে থাকে ভারত৷ তবে সম্প্রতি এক্ষেত্রে তাদের অবস্থান পাল্টেছে৷ বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া এবং ইরান প্রসঙ্গে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে যায়নি ভারত৷ এ প্রসঙ্গে পুরি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখছি৷ এটা ভারতের নতুন অবস্থান৷'' তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী এবং শান্তিরক্ষা অভিযানের পক্ষে জোরালো সুর তুলবে ভারত৷ উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা সদস্য রয়েছে ভারতের৷

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের উচিত অন্যান্য সদস্যদেরকেও সমান গুরুত্বের সাথে নেওয়া৷ ‘‘আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই যে, সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে আমি যখনই নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দিতে গিয়েছি, আমি সেখানে সবসময় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সচিবদের দেখেছি৷ অর্থটা এমন যে, নিরাপত্তা পরিষদ যা করার তা করে ফেলেছে, এখন অন্যদের কথা শুধু শোনার জন্যই শোনা৷ আমি মনে করি এটার পরিবর্তন দরকার'', বলেন পুরি৷

জার্মানি

পশ্চিমা শিবিরের অন্যদের মতোই শান্তিরক্ষা অভিযানের পক্ষে জার্মানির অবস্থান৷ জার্মান রাষ্ট্রদূত পেটার ভিট্টিগ বলেন, আমরা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিষদ গড়তে কাজ করবো৷ যে কোন সংকটের উৎপত্তি ও ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে পরিষদ পদক্ষেপ নেবে সেটিই আমরা চাই৷ প্রথম সংঘাত শিরোনাম হওয়ার আগেই আমরা সেখানে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দাঁড় করাতে চাই৷'' নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের অন্যতম প্রার্থী জার্মানি৷ সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘সদস্যপদের ক্ষেত্রে আরো উদারতা পরিষদের গুরুত্ব বাড়াবে এমন অবস্থান তৈরি করতে চাই আমরা৷ এছাড়া নতুন সদস্যদের সমন্বয়ে যদি পরিষদ ভালো কাজ দেখাতে পারে তবে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পক্ষেও একটা আলোড়ন উঠবে৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী