1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা বাড়াতে বিশেষ পাতা খুললো ফেসবুক

২৭ জুলাই ২০১০

অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নদের আশ্বস্ত করতে আরো একধাপ এগুলো ফেসবুক৷ এবার তাদের সংযোজন নতুন ‘সেফটি পেজ’ – যেখানে ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার নানা উপায়ের সন্ধান দেবে সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/OVbn
নিরাপত্তা বাড়াতে সচেষ্ট ফেসবুকছবি: AP

ফেসবুকের কর্মকর্তা জো সালিভান এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পাতায় মূলত ইন্টারনেট বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে তথ্য সুরক্ষার নানা খবর প্রকাশ করা হবে৷

এই বছরের শুরুর দিকে ব্রিটেনে ১৭ বছরের এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে খুন হন৷ এই ঘটনার সঙ্গে ফেসবুকের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়৷ কেননা যে ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তিনি ফেসবুকেই ব্রিটিশ মেয়েটিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আকৃষ্ট করেন৷ এরপর এপ্রিলে ফেসবুক অনলাইন নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যাপক চেষ্টা চালায়৷ তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি যোগ করা হয় ‘আতঙ্ক বোতাম'৷ এবার যোগ হলো নিরাপত্তার বিশেষ পাতা৷

নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক ফেসবুক পাতারও ভক্ত সংখ্যা ২২ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি৷ অবশ্য সালিভান এর কথায়, নিরাপত্তার বিষয়টি এককভাবে নিশ্চিত করা কঠিন৷ সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় এক্ষেত্রে সাফল্য আসতে পারে৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিত্যনতুন নানা উপায় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাবো৷''

সাম্প্রতিক এক জরিপও জানাচ্ছে, অ্যামেরিকার অর্ধেক ফেসবুকার বা সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী নাকি গোপনীয়তা নিয়ে চিন্তিত৷ গোপনীয়তা বলতে, তারা ফেসবুকে যা শেয়ার করছেন, তা কোথায় কোথায় যাচ্ছে কিংবা কে কীভাবে তার সুবিধা নিচ্ছে তাই নিয়ে চিন্তা৷ সহজ করে বললে, তথ্য সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ফেসবুকাররা৷ বয়সের দিক থেকে ষাটোর্ধরা বড় বেশি দুশ্চিন্তা করছেন তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে৷ আর পুরুষের চেয়ে নারীর দুশ্চিন্তা খানিকটা বেশি৷

তবে, নিরাপত্তা নিয়ে যতই আলোচনা থাকনা কেন, ফেসবুকের ব্যবহারকারী কিন্তু বেড়েই চলেছে৷ গত সপ্তাহে সংস্থাটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন পেরিয়েছে – যার অর্থ হচ্ছে বিশ্বে প্রতি ১৪ জনের একজন ফেসবুক ব্যবহার করেন৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন