1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৪ অক্টোবর ২০১৩

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা স্পষ্ট নয়৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সংবিধানের নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷ তাতে নির্বাচনের সময় স্পষ্ট হয়নি৷ বরং নির্বাচন কমিশন বিপাকে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/19zG6
FILE - In this Tuesday, Sept. 20, 2011 file photo, Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina looks on during the Clinton Global Initiative 2011 Annual Meeting Opening Plenary Session Leaders Dialogue on Climate Change, held at the Sheraton New York Hotel and Towers in New York City. The Bangladesh military has foiled a plot by a group of hardline officers, their retired colleagues and Bangladeshi conspirators living abroad to overthrow the prime minister, a military spokesman announced Thursday Jan. 18, 2012. (Foto:Jennifer Graylock, File/AP/dapd)
ছবি: dapd

রবিবারের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের মেয়াদ এবং অধিবেশন নিয়ে কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চলতে পারে৷ আর এই সংসদের মেয়াদ ২৪শে জানুযারি পর্যন্ত৷ তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে৷ আবার মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী তিন মাসেও নির্বাচন হতে পারে৷ মেয়াদ পূর্তির পরে হলে সংসদ ভেঙে যাবে৷ আর আগে হলে সংসদের কার্যকারিতা থাকবে৷

এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, সরকার তার ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চায়৷ তারা এখনো স্পষ্ট করছে না নির্বাচন কবে হবে৷ তারা তাদের মতো করে সংবিধানের ব্যাখ্যা দিচ্ছে৷ তিনি দাবি করেন, ২৪শে অক্টোবরের পর সংসদ ভেঙে দিতে হবে৷ এরপর আর সংসদের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারেনা৷ তিনি সংসদের এই অধিবেশনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে তার অধীনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান৷ এরপর আর ক্ষমতায় থাকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই বলে দাবি ব্যারিস্টার রফিকুলের৷

এর প্রতিক্রিয়ায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই৷ ২৪শে অক্টোবরের পরই নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য কীভাবে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায়, তা তখন দেখা হবে৷ তিনি সেজন্য বিএনপিকে আলোচনার জন্য আরেকটি সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান৷ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী৷ নির্বাচন বন্ধ করে বিরোধী দলের কোনো লাভ নেই, কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি নির্বাচিত সরকারের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন৷ অন্য কারো হাতে নয়৷ আর নির্বাচন যথাসময়ে না হলে কী ব্যবস্থা তাও সংবিধানে বলা আছে৷ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী এবং অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদই রাষ্ট্রপতি থাকবেন৷

অন্যদিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ডয়চে ভেলেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই৷ সমস্যা অন্য জায়গায়৷ আর তা হলো, নির্বাচন কখন হবে স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী ৷ এতে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে৷ যা নির্বাচন কমিশনকেও বিপাকে ফেলে দিয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছে৷ কারণ তারা বুঝতে পারছেন না নির্বাচন কি সরকারের মেয়াদের শেষ তিন মাসে হবে, না মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী তিন মাসে হবে? তিনি মনে করেন, কিছু বিষয়ে এখন রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন৷ বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার৷ এটা নিয়ে সমঝোতা না হলে নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য