1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ হলো উত্তর কোরিয়া

২২ জুলাই ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া৷ পীত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ারও সমালোচনা করেছে দেশটি৷ উত্তর কোরিয়া বলছে, এটা শুধু ঐ অঞ্চল নয়, বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যই হুমকি৷

https://p.dw.com/p/ORXM
সীমান্ত অঞ্চলে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারাছবি: AP

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে গতকালই৷ আর সেখানে গিয়েই উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা অরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন৷ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে হিলারি গেলেন ভিয়েতনামে৷ সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরাম- এআরএফের নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ৷ আর এতে অংশ নিচ্ছে উত্তর কোরিয়াও৷ পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিনিধি দলটি আজ হ্যানয়ে নেমেই যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছে৷

উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র রি তোং ইল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওয়াশিংটনের এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু কোরিয়া উপদ্বীপই নয়, বিশ্ব নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যই হুমকি৷ যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিকভাবেই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত কোরিয়া চায়, তাহলে এভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে কাজ হবে না৷ সামরিক মহড়া আর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বাদ দিতে হবে৷ আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে৷ আর সেই দায়িত্ব নিতে হবে ওয়াশিংটনকেই৷''

দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ টর্পেডোর আঘাতে ডুবে যাওয়ার পর থেকে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে৷ সৌলের দাবি, এই জন্য দায়ী উত্তর কোরিয়াই৷ যদিও কোরিয়া সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ আর উত্তর কোরিয়ার সরকারকে চাপে রাখতেই ওই অঞ্চলে সামরিক মহড়ার কৌশল নিয়েছে ওয়াশিংটন৷

Senatorin Hillary Clinton, 20.01.2007
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনছবি: AP

পীত সাগরে এই মহড়া ভালো চোখে দেখছে না চীনও৷ তবে উত্তর কোরিয়াকে বশে আনতে চীনের ভূমিকা চায় ওয়াশিংটন৷ কারণ কমিউনিস্ট নেতা কিম জং ইল শাসিত দেশটির ওপর চীনের প্রভাব আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হ্যানয়ে নিরাপত্তা সংলাপের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন হিলারি৷ উত্তর কোরিয়ার ‘উস্কানিমূলক' কর্মকাণ্ড বন্ধে বেইজিংয়ের সহযোগিতা চাইবেন তিনি৷ বিশ্লেষকরাও বলছেন, উত্তর কোরিয়াকে সামলাতে হলে চীনের বিকল্প নেই৷ সৌল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়াং মু জিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ অনেকে সমস্যায় এখন খাবি খাচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ তাই তারা নিজে থেকে উস্কানিমূলক কিছু করতে চাইবে না, যদি না চীনের সম্মতি থাকে৷ তাই চীনকে যদি কাজে লাগানো যায়, তবেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে৷''

এআরএফ সংলাপের খসড়া ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজে হামলার নিন্দা করা হয়েছে৷ তবে এর জন্য সরাসরি উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে কিছু বলা হয়নি৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সঙ্কট নিরসনে ছয় জাতি আলোচনা পুনরায় শুরুর ওপরও জোর দিচ্ছে এআরএফ৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা : সঞ্জীব ব