1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নৌকা ডুবে ২১ জন রোহিঙ্গা নিহত

২০ এপ্রিল ২০১৬

মঙ্গলবার মিয়ানমারে সাগরে নৌকা ডুবে নয় শিশু সহ কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ এদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা এবং তাদের সাগরপথে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/1IYqP
রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজ
(ফাইল ফটো)ছবি: Amnesty International

জাতিসংঘ জানায়, ডুবে যাওয়া নৌকাটি পাওকাও থেকে রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে-তে যাচ্ছিল৷ পাওকাও এলাকায় সিন টেট মাও নামের একটি কেন্দ্র রয়েছে যেখানে রোহিঙ্গারা বাস করে৷ সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে বাধ্য হয়ে ঐ কেন্দ্রে বসবাস করতে হচ্ছে৷

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল ব়্যাপোটিয়ার ইয়াংহি লি ‘শিশু সহ রোহিঙ্গা'দের মৃত্যুতে ‘দুঃখ' প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, ‘অবশ্যই সমাধান' বের করতে হবে৷

কাও হালা অং নামের এক রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘অনিরাপদ পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ কারণ আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ওষুধ কিনতে সিটওয়ে যাওয়ার জন্য সড়কপথ ব্যবহার করতে পারি না৷''

একই কথা বলেছেন আরেক রোহিঙ্গা টিন হালা৷ ডুবে যাওয়া নৌকায় তাঁর ছেলেও ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যখন সিটওয়েতে যাওয়ার দরকার হয় তখন অনিরাপদ (সাগর দিয়ে) পথে যেতে হয়৷''

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরা ও সরকারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বাধানিষেধ রয়েছে৷ দেশটিতে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে দেখা হয় না৷ সেখানকার কর্তৃপক্ষ প্রায়ই রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি' অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে৷ ২০১২ সালে রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধদের মধ্যে দাঙ্গায় শত শত লোক প্রাণ হারিয়েছিল৷

মিয়ানমারে এখন ক্ষমতায় নোবেলজয়ী অং সান সু চির দল৷ রোহিঙ্গাদের অধিকার বিষয়ে সু চির ভূমিকার সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন৷

নৌকাডুবির খবর পরিবেশনের সময় জাতিসংঘের ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়টি টুইটে উল্লেখ করেছেন এএফপির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেদক জেরোমে টেলর৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান