1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিৎসাবিদ্যা

ইয়ের্দাঙ্কা ইয়োর্দানোভা/আরবি২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

জার্মানির অনেক তরুণ স্বপ্ন পূরণের জন্য দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে যান৷ ডাক্তারি পড়ার শেষ সম্ভাবনা দেখেন তাঁরা ঐ সব দেশে৷ যেখানে এই বিষয়ে পড়ার জন্য ‘নুমেরুস ক্লাউসুস’ কিংবা ‘ভর্তির সীমারেখা’ নেই৷

https://p.dw.com/p/1B1Bh
ছবি: Fotolia/contrastwerkstatt

জার্মানির হাসপাতালগুলিতে পূর্ব ইউরোপ যেমন বুলগেরিয়া, রোমানিয়া ও পোল্যান্ড থেকে আসা অনেক ডাক্তার কাজ করেন৷ এই দৃশ্যটা এখন স্বাভাবিক৷ এর কারণ এখানকার হাসপাতালে রয়েছে চিকিৎসকের অভাব৷ এছাড়া পূর্ব ইউরোপীয় ডাক্তারদের কাজের সুনাম, তাঁদের শিক্ষাদীক্ষার উঁচু মানের কারণেও স্বাগত তাঁরা এখানে৷

এর উল্টো চিত্র হলো, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে জার্মানির তরুণরা দলে দলে যাচ্ছেন ডাক্তারি পড়তে৷

গুণগত মান সম্পর্কে সচেতন

পূর্ব ইউরোপের মেডিকেল শিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে জার্মান শিক্ষার্থীরাও সচেতন৷ গত বছরগুলিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরিদ্র দেশগুলিতে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে জার্মান তরুণদের মধ্যে৷

Medizinstudent
প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এক শিক্ষার্থীছবি: picture-alliance/ dpa

জার্মান ইউনিভার্সিটিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ভর্তি হওয়া খুব সহজ নয়৷ স্কুল ফাইনাল বা আবিট্যুর পরীক্ষায় কমপক্ষে ‘ভেরি গুড' বা ‘খুব ভালো' পেতে হয়৷ যদিও ডাক্তারের সংকট জার্মানিতে কম নয়৷

এই সমস্যার কিছুটা সুরাহা করার জন্য এগিয়ে এসেছেন ২২ বছর বয়সি তরুণ ব্যবসায়ী হেনড্রিক লোল৷ ‘স্টুডি মেড' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি৷ প্রতিষ্ঠানটি তরুণ জার্মানদের পূর্ব ইউরোপে ডাক্তারি পড়ার ব্যবস্থা করে থাকে৷ এক্ষেত্রে আগ্রহীর সংখ্যা কম নয়৷ বছরের প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০০ আবেদনকারী ঐ সব দেশে মেডিকেলে ভর্তির ব্যাপারে খোঁজখবর করেছেন৷

ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

‘‘ভর্তির সিদ্ধান্ত আমাদের মাধ্যমে হয় না৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়৷ তবে কোন ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে৷ আর এ কারণে আমাদের আবেদনকারীদের ফিরে যেতে হয়নি৷ সবাই ভর্তি হতে পেরেছেন৷ এক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রমই হয়নি৷'' গর্বভরে বলেন হেন্ডরিক লোল৷ তিনি জার্মান শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে ভর্তির ব্যবস্থা করে থাকেন পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে৷ এর মধ্যে রয়েছে রোমানিয়া, লেটল্যান্ড, ক্লোয়েশিয়া ও স্লোভাকিয়া৷ শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি ভাষা৷ ‘‘পড়াশোনা করুন সেখানে, যেখানে অন্যরা ছুটি কাটাতে যায়৷'' এই স্লোগান দিয়ে এই তরুণ ব্যবসায়ী তাঁর খদ্দেরদের আকৃষ্ট করতে চান৷

Symbolbild Operation Krankenhaus
ছবি: picture-alliance/dpa

পূর্ব ইউরোপের ঐ সব দেশে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীও রয়েছেন৷ তাঁরা নতুন শিক্ষার্থীদের নানা কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন৷ বাসা খোঁজা, অ্যাকাউন্ট খোলা ইত্যাদি ব্যাপারে পাশে এসে দাঁড়ান৷ তবে সার্ভিসের জন্য কিছুটা মূল্যও দিতে হয়৷ মধ্যস্থতা করার জন্য সংস্থাটি এক বছরের ‘টিউশন ফি', অর্থাৎ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত কমিশন ধার্য করে৷ ‘‘এ জন্য বেশিরভাগই ধনী পরিবার ও চিকিৎসকের ছেলে-মেয়েরাই আমাদের খদ্দের'', বলেন হেন্ডরিক লোল৷

Eduardus-Krankenhaus Köln Medizintourismus
ছবি: DW-TV

অনেকেই আবার জার্মানিতে ফিরে আসতে চান

জার্মান ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আবার দুই বা তিন বছর পর কোনো জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসতে চান৷ যদিও এখানে ভর্তির কোনো নিশ্চয়তা নেই৷

রেগেন্সবুর্গের সিমোন বোনিটৎসও এব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেছেন৷ রোমানিয়ার ক্লুজ শহরে প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র তিনি৷ রোমানিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেখানে ভর্তি হতে পেরেছেন সিমোন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘শিক্ষা শেষে আমি জার্মানিতে ফিরে যাব৷ এর আগেও পরিবর্তন করা যায়৷ অবশ্য আমি তা চাই কিনা, তা জানি না৷ আসলে আমার এখানে ভালোই লাগছে৷ আমার মনে হয় ক্লুজ-এ আমি পড়াশোনাটা শেষ করবো৷''

জার্মান হাসপাতালগুলিতে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে চিন্তিত নন সিমোন৷ রোমানিয়ার ডিগ্রি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশেই স্বীকৃত৷