1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেতানিয়াহু পূর্ব জেরুসালেমে বসতি নির্মাণে বদ্ধপরিকর

১৬ মার্চ ২০১০

শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও এ-ব্যাপারে খুব সন্তুষ্ট নন৷ শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে একটি ‘‘গুরুতর আঘাতের’’ কথা বলেছেন তিনি, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি’র বার্লিন সফরের অবকাশে৷

https://p.dw.com/p/MTuy
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গেছবি: AP

শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও এ-ব্যাপারে খুব সন্তুষ্ট নন৷ শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে একটি ‘‘গুরুতর আঘাতের'' কথা বলেছেন তিনি৷ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি'র বার্লিন সফরের অবকাশে ম্যার্কেল এ-কথা বলেন৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু'র কাছে পূর্ব জেরুসালেমে বসতি নির্মাণের পরিকল্পনাটি পুরোপুরি স্বাভাবিক৷ তাঁর লিকুদ সংসদীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের সমীপে নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েল জেরুসালেম এবং অপরাপর স্থানে ঠিক সেভাবেই নির্মাণকার্য চালাবে, যেভাবে ইসরায়েল বিগত ৪২ বছর ধরে তা চালিয়ে আসছে৷ এক্ষেত্রে নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনের সঙ্গে মনোমালিন্যের কথা উল্লেখ করেননি৷ সোমবার দ্বিপ্রহরে নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সংসদে ব্রেজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা'কে স্বাগত জানানোর সময় বলেন যে, বিগত ৪০ বছরে কোনো ইসরায়েলি সরকারই জেরুসালেমে নির্মাণকার্য সঙ্কুচিত করেননি৷ নেতানিয়াহুর ভাষায়:

‘‘এই ইহুদি বসতিটির নির্মাণ পূর্ব জেরুসালেমের আরব বাসিন্দাদের কোনোমতেই ক্ষতি করেনি, এবং তা তাদের ক্ষতি করেও ঘটেনি৷ বর্তমানে জেরুসালেমের ইহুদি বাসিন্দাদের প্রায় অর্ধেক ঐ বসতিতে বাস করে৷ এবং সেই কারণে - সংসদে কিছু মতপার্থক্য সত্ত্বেও - প্রায় সকলেই, হয়তো বাস্তবিক সকলেই এ-বিষয়ে একমত যে, যে-কোনো চূড়ান্ত শান্তি চুক্তিতে এই বসতি ইসরায়েল রাষ্ট্রের অঙ্গই থাকবে৷''

বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ঠিক এই মনোভাবের সমালোচনা করে বলেছেন:

‘‘পূর্ব জেরুসালেমে নতুন আবাসন নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার ফলে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলের মধ্যে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা সংঘটিত হবে কিনা, সে প্রশ্নে আমরা একটা গুরুতর আঘাতের সম্মুখীন হয়েছি৷ আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনালাপে তা স্পষ্ট করেও দিয়েছি৷''

Auslandseinsätze der Bundeswehr UNIFIL Deutschen Fregatte Bayern in den Gewässern vor Beirut Libanon
বৈরুতের উপকুলে জার্মান রণতরী ‘বায়ার্ন’ছবি: picture-alliance/dpa

নয়তো ম্যার্কেল নবাগত অতিথি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি'কে বলেন যে, তিনি ভূমধ্যসাগরে জার্মান নৌবাহিনীর অভিযানের মেয়াদ বাড়ানোর সপক্ষে - হারিরি'র যা ভালো লাগারই কথা৷ সাদ হারিরি মাত্র ছ'মাস আগে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, এ'টি তাঁর প্রথম বার্লিন সফর৷ এবং স্বভাবতই চ্যান্সেলরের সঙ্গে তাঁর আলাপ-আলোচনায় লেবাননের দক্ষিণের প্রতিবেশী ইসরায়েলের প্রসঙ্গটি বাদ পড়েনি৷ এবং সেক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের মুখে অপ্রত্যাশিত রকম স্পষ্ট ভাষা শোনেন হারিরি৷ ম্যার্কেল এই আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের কাছ থেকে ইতিবাচক সঙ্কেত আসবে, এবং বর্তমানের মতো শুধু নেতিবাচক নয়, যা যাবতীয় আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনা বিনষ্ট করে৷

এবং ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল প্রসঙ্গটি যে লেবাননের কাছে কতো গুরুত্বপূর্ণ, সাদ হারিরি তার প্রমাণ দিয়েছেন এ-কথা বলে: ‘‘আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজে আমাদের বান্ধবরা যখন প্রশ্ন করেন, ‘আমরা লেবাননকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?' সব সময়েই আমাদের প্রথম উত্তর হল, ‘ফিলিস্তিনি প্রশ্নে বিশ্বাসযোগ্য প্রগতির ব্যবস্থা করো'৷''

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার