1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেদারল্যান্ডস'এর নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থীদের সাফল্য

১০ জুন ২০১০

দেড়শ আসনের সংসদ৷ কিন্তু কোন দলই পায়নি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷ চরম দক্ষিণপন্থী বলে পরিচিত পিভিভি পার্টি'র অবস্থান বেশ ভালো৷ সরকার গঠন করতে লাগবে তাদের সহায়তা, সমর্থন৷ নেদারল্যান্ডস-এর সংসদ নির্বাচনের এই হলো হাল অবস্থা৷

https://p.dw.com/p/Nn31
পিভিভি’র বিতর্কিত নেতা খেয়ার্ট ভিল্ডার্সছবি: AP

পিভিভি পরিচিতি মুসলিম বিদ্বেষী ডানপন্থি দল হিসাবে – যারা নেদারল্যান্ডস-এ মুসলিম দেশগুলো থেকে অভিবাসনের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তাদের সমর্থন ছাড়া কোন দলই সরকার গঠন করতে পারবে না৷ কারণ, নির্বাচনে অপর দুটি বড় দল যথাক্রমে ব্যবসায়িদের সুবিধা দেয়ার পক্ষের দল লিবারেল ভিভিডি পার্টি পেয়েছে ৩১টি আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ৩০টি আসন৷ অন্যদিকে, পিভিভির আসন ২৪টি৷ শতকরা আটানব্বই শতাংশ ভোট গণনার পর পাওয়া গেছে এই ফলাফল৷

ফলাফল প্রকাশের পর বেশ দম্ভ নিয়েই পিভিভির নেতা খেয়ার্ট ভিল্ডার্স বললেন, ‘‘আমাদেরকে কেউ পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না৷ আমরা নতুন সরকারের অংশিদারিত্ব চাই,'' বললেন আত্মগোপন করে থাকা এই বিতর্কিত নেতা৷ এই দল নেদারল্যান্ডসের নতুন মসজিদ তৈরির যেমন বিপক্ষে, তেমনই তারা চায় কোরআন বাজেয়াপ্ত করতেও৷

ফলাফলে বেশ খারাপ করেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ান পেটার বালকেনেন্ডে'র ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক অ্যাকশান পার্টি৷ নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আট বছর ক্ষমতায় থাকা এই প্রধানমন্ত্রী৷ গত ফ্রেব্রুয়ারিতেই বালকেনেন্ডে'র জোট সরকারের পতন হয় আফগানিস্তানে শান্তি মিশন ইস্যুকে কেন্দ্র করে৷

যাহোক, নির্বাচনের এই ফলাফল খুব একটা কি ভালো প্রভাব নিয়ে আসবে? তাই হয়তো ডাচ সংবাদপত্র এনআরসি নেক্সট'এর শিরোনাম, ‘বিভক্ত নেদারল্যান্ডস'৷ নেদারল্যান্ডস'এর এ নির্বাচনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোর জন্য ছিল একটি অ্যাসিড টেস্ট৷ কারণ, এই নির্বাচনের আগে লিবারেল ভিভিডি পার্টির জানিয়েছিল, তারা নির্বাচিত হলে আগামী চার বছরে রাষ্ট্রের প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ইউরো খরচ কমাবে৷ অপরদিকে লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতি ছিল, তারা যদি নির্বাচিত হয় তাহলে তারা রাষ্ট্রের অপচয় রোধে আরও সচেতন হবে এবং সামাজিক সুবিধা পর্যাপ্ত করবে, ধনীদের কাছ থেকে বাড়তি কর আদায় করবে৷ অনেকটা ইইউ এখন যা চাইছে, প্রতিশ্রুতিগুলো ঠিক সে ধরণেরই ছিলো৷ গ্রিসের আর্থিক সংকটের পর এই প্রথম ইউরোপীয় কোন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো৷ ফলে পরিবর্তিত সময়ে ভোটাররা কী ধরণের সিদ্ধান্ত জানান, সেই বিষয়টিই পরখ করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন