1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালী ভাষী শরণার্থীদের আবার যেতে দেয়া হবে ভুটানে

২৯ জুলাই ২০১০

আজ থেকে ২২ বছর আগে ভুটান থেকে নেপালীভাষী শরণার্থীদের অনেককে বের করে দেয়া হয়েছিল৷ এরপর তারা আশ্রয় নিয়েছিল নেপালে৷ সেখানকার সরকারও তাদের গ্রহণ করতে নারাজ৷ এখন সেই ভুটানেই তাদের আবার ফিরতে বলা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/OX9P
ছবি: AP Photo

হিমালয় পাদদেশের পাহাড়ি দেশ ভুটানে রয়েছে ২০টি ভাষা৷ এই ভাষাভাষীদের সংখ্যা একেবারে কম নয়, আটষট্টি লাখ৷ শত বছর ধরে বিভিন্ন ভাষাভাষীর লোকেরা ভুটানি ভাষী জনগণের সঙ্গে দারুণ এক সৌহার্দ্য নিয়েই বাস করে আসছিলেন৷ কিন্তু সমস্যাটি বাঁধলো ১৯৮৮ সালে৷ সে সময়ে করা জরিপে সে দেশের সরকার দেখতে পেলো, দেশের দক্ষিণ প্রান্তের দুই জেলায় নেপালী ভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷ এই নেপালী ভাষীরা মূলত নেপাল থেকে নানা কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটানে এসে বসবাস করছেন৷ এরা মূলত শরণার্থী হিসাবেই চিহ্নিত৷

তখন এই ভাষাভাষী মানুষকে নিয়েই শংকায় পড়ে গেল সেখানের সরকার৷ তারা মনে করছে, এর ফলে ভুটানীদের আত্মপরিচয় এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখোমুখি হবে৷ আর তাই সরকার লক্ষাধিক নেপালী শরণার্থিকে বহিষ্কার করে পাঠিয়ে দেয় নিজ দেশ নেপালে৷ নেপাল সেই শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদেরকে নিজ দেশের নাগরিক হিসাবে মেনে নেয়নি৷ কিন্তু এভাবে তো আর চলতে পারে না৷ তাই এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন বা ইউএনএইচসিআর৷ তারা এদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে বাস্তু৷ দিচ্ছে রেশনও৷

ভুটান সরকারের কাছ থেকে বিতাড়িত হওয়া অনেক নেপালী শরণার্থী ইতিমধ্যে পাড়ি জমিয়েছে তৃতীয় দেশে৷ এদের সংখ্যা একেবারে কম নয়৷ ৩৩ হাজার৷ এদের বেশীরভাগ অংশই আশ্রয় নিয়েছেন মার্কিন মুল্লুকে৷ আর এ কাজে সহায়তা করেছে খোদ ইউএনএইসসিআর৷ নেপালে এই অফিসের মুখপাত্র নিনি গুরুং জানালেন, ‘‘তারা আমাদেরকে এখন ই-মেল লেখে, সময় পেলে টেলিফোন করে৷ তারা তাদের জীবনের কথা আমাদের জানায়৷ আমরা জেনে খুবই খুশি হয়েছি, যে তৃতীয় দেশের মূল ধারার সঙ্গে যেন কোন সমস্যা না হয় তাই, তারা সেখানকার ভাষা শিখছেন৷ এদের অনেকেই নানা চাকরিও পেয়ে গেছেন৷''

তবে এরই মধ্যে ইউএনএইচসিআর একটি উদ্যোগ নিয়েছে ভুটান সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর৷ তারা নেপালে অবস্থান করা সেই শরনার্থীদের প্রস্তাব দিয়ে বলেছে, ‘‘আপনারা যদি আবার ভুটান আসতে চান, তাহলে কোন সমস্যা নয়৷ আবার সেখানে আসতে পারেন৷'' এতে তরুণ শরনার্থীরা খুশি না হলেও বয়োজ্যেষ্ঠরা বেশ খুশি৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন