1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেলসন মান্ডেলা স্বয়ং এলেন সমাপ্তি অনুষ্ঠানে

১২ জুলাই ২০১০

দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্ত আবেগ-অনুভূতি এবং গর্বের প্রতীক হয়ে জোহানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামে এলেন প্রাণপুরুষ নেলসন মান্ডেলা৷ অপরদিকে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে ছিল চটুলপদ শাকিরা৷

https://p.dw.com/p/OGYJ
সস্ত্রীক নেলসন মান্ডেলাছবি: AP

নেদারল্যান্ডস-স্পেন ফাইনালের কল্যাণে কমলা এলং লাল রঙে সেজেছিল ৮৮,০০০ দর্শকের ক্রীড়াঙ্গণ৷ সেখানেই একটি গল্ফ কার্টে চড়ে সস্ত্রীক দর্শন দিলেন ৯১ বছরের নেলসন মান্ডেলা৷ তাঁর উপস্থিতিতে ধন্য হল এই বিশ্বকাপ৷

মান্ডেলার পরণে ছিল শীতের কালো কোট, মাথায় লোমশ কালো টুপি, হাতে কালো দস্তানা৷ সে তুলনায় শাকিরার পরেছিলেন একটি ঘাসের স্কার্ট এবং পুঁতি দেওয়া হল্টার টপ৷ গাইলেন তাঁর ওয়াকা ওয়াকা গানটি৷ সঙ্গে ছিল এ্যাফ্রোপপ ব্যান্ড ফ্রেশলিগ্রাউন্ড৷ পরে গ্রামি বিজয়ী আ কাপেলা - অর্থাৎ খালি গলার - আফ্রিকান গায়ক গোষ্ঠী লেডিস্মিথ ব্ল্যাক মামবাজো গাইল ‘‘রেইন, রেইন, বিউটিফুল রেইন'' বা ‘বৃষ্টি, বৃষ্টি, সুন্দর বৃষ্টি' গানটি৷

Flash-Galerie Shakira Eröffnungskonzert Südafrika Fußball Weltmeisterschaft 2010
তারুণ্যের প্রতীক হয়ে ছিল চটুলপদ শাকিরাছবি: AP

বৃষ্টির গানের সঙ্গে সঙ্গে ১৩টি মানুষের বওয়া কাল্পনিক হাতি মাঠ পার হয়ে একটি জল খাওয়ার জায়গার ভিডিও প্রোজেকশনে গিয়ে জল খেল৷

বলতে কি, সকার সিটির চেহারাটাই হল আফ্রিকার একটি রান্নার হাঁড়ির মতো৷ যেমন শনিবার পোর্ট এলিজাবেথের যে স্টেডিয়ামে জার্মান দল উরুগুয়েকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে, তার চেহারা হল সূর্যমুখী ফুলের মতো৷

আফ্রিকায় বোধহয় সব কিছুই শেষমেষ জীবনের প্রতীক হয়ে যায়৷ এই সদ্য-সমাপ্ত ফুটবল বিশ্বকাপও৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম