1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প

১৫ জুলাই ২০১২

বাংলাদেশে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের আওতায় চাকরি নেয়া প্রায় ৫৬ হাজার কর্মী এখন নতুন করে হতাশ হয়ে পড়েছেন৷ কারণ তাদের অনেকেরই আজ থেকে চাকরি নেই৷ আর বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/15Xq2
Bengalische Banknoten von 2 bis 1000 BDT. Datum: 25.10.2011. Eigentumsrecht: A H M Abdul Hai, Bengali Redaktion, DW, Bonn
ছবি: DW

তাদের সবাইকে দু'বছর মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ আর প্রয়োজন ছাড়া সরকারের কোষাগারের টাকা খরচ করে এই নিয়োগ ঠিক ছিল না বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন-এর প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার৷

ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া ছিল বর্তমান সরকারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি৷ আর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ২০১০ সালের ৫ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের ঘোষণা দেন৷ এই প্রকল্পের আওতায় দেশের তিন জেলা কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ এবং বরগুনায় ৫৫,৮৮৬ জন বেকার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেয়া হয়৷ তাদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানেই নানা কাজে সহযোগিতার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়৷ হাসপাতালগুলোতে তাদের কাজের সুযোগ থাকলেও থানা ও প্রশাসনিক দপ্তরে তারা শুধু হাজিরা দেন৷

দুই বছর মেয়াদে এই নিয়োগে তাদের বেতন ধরা হয় ৬,০০০ টাকা৷ এর মধ্যে প্রতিমাসে ২,০০০ টাকা কেটে রাখা হয়েছে৷ যা চাকরি শেষে তাদের একবারে ৫০,০০০ টাকা দেয়া হবে৷ কুড়িগ্রামে প্রথম ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ৯,৭২১ জনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে শনিবার৷ পর্যায়ক্রমে অন্যদের চাকরির মেয়াদও শেষ হবে৷ এই পরিস্থিতিতে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন৷ সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন-এর প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন. তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে৷ এখন তাদের উচিত হবে এককালীন যে ৫০,০০০ টাকা পাবেন তা দিয়ে আত্ম-কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা৷

তবে সরকারি কোষাগারের টাকায় এই নিয়োগ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার৷ তার মতে রাজনৈতিক কারণে এই প্রকল্প যেন আর বাড়ানো না হয়৷

তিনি বলেন সরকারের উচিত বেসরকারি খাতে যাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয় সেই ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া৷ তাহলেই সত্যিকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷

তার মতে বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলেতে হবে৷ আর বাড়াতে হবে কাজের সুযোগ৷ কৃত্রিমভাবে কাজ দেয়া যায় না৷আর এটি কোন স্থায়ী সমাধানও না৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য