1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে কাজ করছে মজুরি বোর্ড৷ এই বোর্ডের সদস্যরা এরই মধ্যে কয়েকটি বৈঠকও করেছেন৷ কিন্তু ন্যূনতম মজুরি নিয়ে পোশাক শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/19lXQ
ছবি: picture-alliance/dpa

মালিকরা ন্যূনতম মজুরি ৩,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন৷ কিন্তু শ্রমিকরা প্রস্তাব করেছেন ৮,১১৪ টাকা৷ তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ৬,৫০০ টাকা৷

রানা প্লাজা ধসে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক চাপ এবং বিদেশে বাংলাদেশি পোশাকের বাজার ধরে রাখতে তৈরি পোশাক খাতে নতুন করে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়৷ এই বোর্ড ২১ অক্টোবর ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করবে৷ এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩,০০০ টাকা৷

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম এই মজুরি বোর্ডের একজন সদস্য৷ তিনি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮,১১৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ২০১০ সালে যে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল তা ছিল প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম৷ আর এখন গত ৩ বছরে মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাপন ব্যয়, বাসা ভাড়া, চিকিৎসা এসব মিলিয়ে কোনোভাবেই তার প্রস্তাবিত মজুরির কমে একজন পোশাক শ্রমিকের টিকে থাকা সম্ভব নয়৷

এদিকে পোশাক প্রস্তুতকারী মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করছে ৩,৬০০ টাকা৷ তারা ন্যূনতম মজুরি মাত্র ৬০০ টাকা বাড়াতে প্রস্তুত৷ তাদের কথা গত ৩ বছরে যে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে তার হিসাব ধরেই তারা এই প্রস্তাব করেছেন৷ বিজিএমইএ'র সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান এর চেয়ে বেশি মজুরি বাড়ানো তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷ তাঁর কথা তাদের আয় বাড়েনি বরং কমেছে৷ তাই তারা বাড়তি মজুরি দেবেন কোথা থেকে৷ এর জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন গার্মেন্টস মালিকরা অতি মুনাফা করছেন৷ তারা সেই মুনাফা ছাড়তে চাইছেন না৷ তাই তারা মজুরি বাড়ানোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন৷ তাই পোশাক শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরি আদায়ে দেশে ও বিদেশে প্রচারণা চালাবেন৷ তারা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে যাবেন, কথা বলবেন আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন এবং নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে৷

২০১০ সালে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ইকতেদার আহমেদ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন শ্রমিক ও মালিকদের ন্যুনতম মজুরি নিয়ে একটি মাঝামাঝি অবস্থানে আসতে হবে৷ তিনি বলেন মালিকদের কথিত মুদ্রাস্ফীতির হিসাব ধরে মজুরি নির্ধারণ হয় না৷ ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণে আরো অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়৷ তিনি বলেন ২০১০ সালে ৩,০০০ টাকায় যে জিনিস কেনা যেত এখন কি তা ৩,৬০০ টাকায় কেনা সম্ভব? বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ১,০৪৪ ডলার - যা কম বেশি ৮০,০০০ টাকা৷ সেই বিচেনায় শ্রমিকদের মাসিক ন্যুনতম মজুরি হওয়া উচিত ৬,৫০০ টাকা৷ তিনি বলেন ১০ ডলার দিয়ে তৈরি করা একটি পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ ডলারে৷ তাহলে শ্রমিকদের লাভের অংশ কেন দেয়া হবে না৷ তাঁর মতে মালিকদের অতি মুনাফার মনোভাব ছাড়তে হবে৷ শ্রমিকদের জীবনযাপনের উপযোগী ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে হবে৷ মালিকদের গো ধরলে চলবেনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য