1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দুর্নীতি হয়নি, ষড়যন্ত্র হয়েছে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ জুন ২০১৩

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন এখন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর হাতে৷ তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি এখনো পুরোপুরি পড়ে দেখেননি৷ তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন দুর্নীতি হয়নি, হবেও না৷

https://p.dw.com/p/18no7
ছবি: DW

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের নতুন আবাসিক প্রতিনিধি জোহান জুট৷ তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন তাঁর কাছে জমা দিয়েছেন জোহান জুট৷

অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রতিবেদনটি পড়ে দেখেননি৷ প্রতিবেদনে কিছু তথ্য এবং সুপারিশ রয়েছে৷ তবে পদ্মা সেতু নিয়ে কোন দুর্নীতি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবেনা৷ দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছিল৷ দুর্নীতির ষড়যন্ত্র দুর্নীতি কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টি এখন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে৷ তারাই ভালো বলতে পারবে৷ যদি ষড়যন্ত্রে শাস্তির বিধান থাকে, জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে৷''

Bangladesch unterzeichnet Kredit mit der Islamischen Entwicklungsbank
বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মনে করেন, নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের পক্ষে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভবছবি: DW

অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি তদন্ত প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশের অনুমতি চেয়েছে এবং অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে সবাই জানতে পারবেন৷

এদিকে আবাসিক প্রতিনিধি জোহান জুট সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি মনে করেন, নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের পক্ষে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব৷ এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে যুক্ত হবেনা৷ তবে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ঋণপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে৷ বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বলে জানান তিনি৷

এদিকে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকারেরই উচিত বিশ্বব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা৷ তা করলে দেশের মানুষ জানতে পারবে, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ কতটুকু যৌক্তিক৷ এই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে৷ অভিযোগ প্রমাণ না হলে তা সরকারেরই পক্ষেই যাবে৷ তাই স্বচ্ছতার জন্যই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. ইফতেখার৷ তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তেও সহায়ক হবে৷

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকসহ পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে তাদের প্রতিশ্রুত ঋণ প্রত্যাহার করে৷ এরপর অন্য দাতারাও অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ৬.১৫ কি.মি দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছিল ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১.৫ বিলিয়ন, এডিবি ৬১৫ মিলিয়ন, জাইকা ৪১৫ মিলিয়ন এবং আইডবি ১৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নাম মাত্র সুদে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য