1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পনেরো মাস পরে আজ ভারত পাকিস্তান বৈঠক দিল্লীতে

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০

দীর্ঘ পনেরো মাস পরে আজ আবার মুখোমুখি ভারত পাকিস্তান৷ মুম্বই হামলার পর ভারত থামিয়ে দিয়েছিল যাবতীয় বার্তালাপের পথ৷ তারপর অবশেষে বিদেশসচিব পর্যায়ের এই আলোচনায় প্রসঙ্গ অবশ্যই সন্ত্রাসবাদ৷

https://p.dw.com/p/MAQv
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই আলোচনার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেনছবি: picture-alliance/Bildfunk

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সলমন বশির আর ভারতের তরফে নিরুপমা রাও৷ আজ বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লীতে এই দুজন মুখোমুখি হচ্ছেন৷ ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘ পনেরো মাস পেরিয়েছে৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ ছিল এই সন্ত্রাসে পরোক্ষ মদতের৷ পাকিস্তান বারংবার প্রমাণ দাবি করেছে৷ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলকেও৷ অবশেষে ভারতের ইউপিএ সরকারের সিদ্ধান্ত, আলোচনা হবে৷ দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও অতি সম্প্রতি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে জার্মান রেস্তোঁরায় বোমা হামলার ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর জড়িয়ে থাকার ব্যাপার প্রকাশ্যে এসে যায়৷ এরপর বিরোধীরা দাবি তোলেন, এই অবস্থায় বাতিল করা হোক ২৫ মার্চের বিদেশসচিব পর্যায়ের আলোচনা৷

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং এবং সেইসঙ্গে তাঁর ইউপিএ সরকারের জোট শরিকরা এই বৈঠকের বিষয়ে কঠিন অবস্থান নেন তখনই৷ বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলা রুখতে এবং পুনরায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে এই আলোচনা এখন জরুরি৷ পরিশেষে আজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে নতুন দিল্লীতে৷ দীর্ঘ পনেরো মাস পরে৷

Bildgalerie Jahresrückblick 2008 November Indien
ডেটলাইন - ২৬/১১, মুম্বই, তাজমহল হোটেলে জঙ্গি হামলার ফাইল ছবিছবি: AP

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়েও কিছু মন কষাকষি রয়ে গেছে এখনও৷ ভারত চাইছে আলোচনার বিষয় হবে শুধুই সীমান্তপারের মদতে ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসের ইস্যুগুলি৷ পাকিস্তান চাইছে যাবতীয় সন্ত্রাসের মূলে যে কাশ্মীর সমস্যা, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হোক সেটাই৷ ভারতের আরও দাবি, কোন তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতা এক্ষেত্রে মানতে রাজি নয় নতুন দিল্লী৷ পাকিস্তান চাইছে তৃতীয়পক্ষ বা মধ্যস্থতা হিসেবে তারা চায় চীনের ভূমিকা৷

এ ধরণের একটা পরিস্থিতিতে আজকের আলোচনা কতদূর ফলপ্রসূ হবে তা জানা যাবে আর কয়েক ঘন্টার ভিতরেই৷ কিন্তু, দীর্ঘ পনেরো মাস পরে দুই যুযুধান প্রতিবেশীর মধ্যে আবার পারস্পরিক আলাপ শুরু হওয়ার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সব মহল৷ কারণ, মান অভিমান মানুষী সম্পর্কের জন্য কার্যকর বা স্বাস্থ্যকর হলেও হতে পারে, কিন্তু দুটি রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নিরূপণে তা কোন কাজের কথা নয়৷ তাতে ক্ষতি বাড়ে বই কমে না৷ আরও যা বেড়ে যায় তা হল পারস্পরিক বিরাগ৷ সুতরাং এই আলোচনার সূত্রপাত হয়তো আগামীদিনে সেই অর্থে নতুন কোন দিশা দিলেও দিতে পারে৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম