পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলে সংশোধনের জন্য ভারতে সরকারের ওপর চাপ
১৬ জুন ২০১০সংসদে পেশ করার পর বিরোধীদের আপত্তিতে বিলটি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয় সংসদীয় কমিটিতে৷
সংসদীয় কমিটির মতে, বিলের বর্তমান সংস্থান অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব বিদেশি কোম্পানি ভারতকে পরমাণু চুল্লি ও অন্যান্য সাজসরঞ্জাম সরবরাহ করবে, ভবিষ্যতে কোন ভুলত্রুটির দরুন দুর্ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ঐসব সংস্থাগুলির দায়বদ্ধতা বিশেষ থাকবেনা৷ পরমাণু চুল্লি সরবরাহকারি বিদেশি সংস্থাগুলিকে সুবিধা দিতে সরকার প্রথমে ঐ বিলে যে সংশোধন করতে চেয়েছিলেন, গতকালের বৈঠকে তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয় সরকারের তরফে৷ প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিলের ১৭-খ ধারা তুলে নিতে চাওয়া হয়, যেখানে পরমাণু সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের আইনি সুরক্ষার অধিকার দেবার কথা বলা হয়৷
১৭-খ ধারায় আছে, পরমাণু সরঞ্জামে কোন গলদ থাকলে কিংবা পরিষেবা প্রতিদানকারী সংস্থার কোন ত্রুটি বা তার কর্মচারিদের কোন ভুলভ্রান্তির ফলে পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটলে, তাদের আইনি সুরক্ষা পাবার অধিকার থাকবে৷ উল্লেখ্য, অতীতে চের্নোবিলসহ অন্যান্য যেসব পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটে তার অন্যতম কারণ ডিজাইনে গলদ৷ বিলের ৪৬নং ধারায় ক্ষতিপূরণের যে পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানে সেই পরিমাণ খুব সামান্য, মাত্র ৫০০ কোটি টাকা৷ এই পরিমাণ বাড়িয়ে যুক্তি সম্মত করার কথা বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা৷
প্রস্তাবিত সংশোধনের জন্য মার্কিন সরকারের চাপের কথা অস্বীকার করে পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়, রাশিয়া ও ফ্রান্স আন্তর্জাতিক ধাঁচের আইনের পক্ষপাতি৷ সংশোধনী নিয়ে সংসদীয় কমিটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন বুধবার৷ সামগ্রিকভাবে তাঁদের মত হলো, ভারতে দুর্ঘটনার শিকার হলে, ভারতীয় আদালত থেকে তাঁরা ততটাই সুরক্ষা পাবার অধিকারি, যতটা মার্কিন নাগরিকরা সেদেশের আদালতে পাবে৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন