1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ

কিলিয়ান শ্যুৎসে / এসবি৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বিশ্বায়নের এই যুগে কৃষিকর্মের চরিত্রই বদলে গেছে৷ শুধু উৎপাদন নয়, খাদ্যপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণও জরুরি হয়ে উঠছে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রকল্প পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এই কাজ করে দেখাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/19dE8
++ DW / Kilian Schütze ++
Teaser Global Ideas – Südafrika – ohne Logoছবি: DW / Kilian Schütze

দক্ষিণ আফ্রিকায় সকাল হলে সূর্যের আলোর ছটায় লেতাবা উপত্যকা নানা রংয়ে ভরে যায়৷ পর্যাপ্ত রোদ ও বৃষ্টি থাকায় চা ও ফলমূলের ফলন ভালো৷ অনেকে বলে, দেশের সেরা আপেল, কমলা লেবু এখানেই পাওয়া যায়৷

৫০ বছর আগে লেতাবা কোম্পানি এখানে কাজ শুরু করেছিল৷ লেবু জাতীয় ফলের চাষ করে তার প্রক্রিয়াজাতকরণ করে, পরিবেশ সংরক্ষণই ছিল তাদের উদ্দেশ্য৷ প্লান্টেশনের বাইরেই কাহিনির সূচনা৷ কমলালেবু এবার পেকে গেলে হাতে করেই সেগুলি তুলতে হয়৷ কৃষিকর্মী ইভান মুশওয়ানা বলেন, ‘‘আমার কমলা তুলতে ভালোই লাগে৷ কোনো সমস্যা নেই৷ এখানে প্রায় সবাইকেই আমি চিনি৷ ফলে কাজ করে ভালোবাসি৷ অফিসের কাজ ভালো লাগে না৷ এটাই আমার কাজ, এটাই আমি চাই৷''

ইভান ও তাঁর সহকর্মীদের কৃতিত্ব কম নয়৷ প্রতি বছর প্রায় ৮৫ হাজার টন ফল কোম্পানির কারখানায় আসে৷ সেখানে সেগুলি বাছাই করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়৷ অথবা ফলের রস তৈরি করতে আলাদা করা হয়৷ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে লেবু জাতীয় ফলের রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে লেতাবাই অন্যতম বড় কোম্পানি৷ তবে ফলের প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, অনেক জ্বালানি লাগে৷

আগে কোম্পানি এই কাজে প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার টন কয়লা ব্যবহার করতো৷ তরপর কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলী আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলো৷ ধাপে ধাপে কয়লার বদলে ‘সডাস্ট' বা কাঠের গুঁড়ার ব্যবহার শুরু হলো৷ ২০১১ সাল থেকে নতুন এই উপাদান চুল্লির জন্য জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ তাতে ফলের খোসা শুকানো হয়৷

পরিবেশবান্ধব এই উদ্যোগের প্রধান বেশ গর্ব অনুভব করেন৷ লেতাবা কোম্পানির প্রধান আন্দ্রিস ফান ভাইনগার্ট বলেন, ‘‘হপার থেকে এই স্ক্রু পর্যন্ত আসে৷ স্ক্রু থেকে নীচে এই চুল্লিতে যায়৷ তারপর চুল্লি থেকে ড্রায়ার-এ যায়৷ কাঠের গুঁড়া পোড়ানো হলে কার্বন নির্গমন ঘটে না, যেমনটা আগে কয়লা জ্বালালে ঘটতো৷''

জৈব উপাদান হিসেবে কাঠের গুঁড়া আসলেই পরিবেশের ক্ষতি করে না৷ সমাধানসূত্র এতই সহজ৷ চুল্লির তাপমাত্রা ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ সডাস্ট দিব্যি পুড়তে থাকে৷ কারখানায় ফলের যে টন টন ভিজে খোসা জমতে থাকে, সেগুলি ছোট ছোট করে কেটে বিশাল গরম জালায় ফেলা হয়৷

চুল্লি থেকে গরম বাতাস ফলের খোসার আদ্রতা শুষে নেয়৷ যা অবশিষ্ট থাকে তা উচ্চমানের পশুখাদ্য৷ ফলে অবশিষ্ট ফলও আবার প্রকৃতিতেই ফিরে যায়৷ কাঠের মিলের মালিক রোহান ভিসাজি বলেন, ‘‘এটা সত্যি কাজে লাগানো গেলে ক্ষতি কী! এখানে ফেলা না রেখে এমন কিছু করলেই তো ভালো৷ আমার এই জায়গা কিছুটা সাফ করতে পারলেই তো শতভাগ লাভ বৈকি৷ সেই সঙ্গে আমরা কিছুটা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারলে আমি খুশি হই৷''

এতে ফলের কোম্পানি ও কাঠের মিল – দুপক্ষেরই লাভ হয়৷