1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ ও রসায়ন

মাবেল গুন্ডলাখ/এসবি২৩ আগস্ট ২০১৩

বার্লিনের রসায়নবিদ মাটিয়াস ড্রিসের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে রসায়নকে আরও পরিবেশ-বান্ধব করে তোলার চেষ্টা করছেন৷ তার জন্য তাঁরা সঠিক ক্যাটালিস্ট-এর খোঁজ করছেন৷

https://p.dw.com/p/19VAZ
ছবি: DW/Andreas Noll

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বার্লিনের মাটিয়াস ড্রিস তাঁদের উদ্যোগ সম্পর্কে বললেন, ‘‘কোনো রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার গতি বাড়ানোই ক্যাটালিস্টের দায়িত্ব৷ এটাই তার কাজ৷ যেমন প্রতিটি পরমাণুকে পথ দেখিয়ে দেয় সেটি৷ ক্যাটালিস্ট আবর্জনা সৃষ্টি হতে দেয় না৷ ফলে সেটি পরিবেশের ক্ষতি হতে দেয় না৷''

ড্রিস আসলে এক ক্যাটালিস্ট গবেষণা প্রকল্পের মুখপাত্র৷ প্রকল্পের নিজস্ব ম্যাসকট এই ভালুক৷ বার্লিন ও আশেপাশের অঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই নেটওয়ার্কে যুক্ত৷ ২৪০ জন বিজ্ঞানী এই প্রকল্পের জন্য কাজ করছেন৷

তাঁরা এমন সব ক্যাটালিস্টের খোঁজ করছেন, যেগুলির সাহায্যে ক্ষতিকারক মিথেনকে এথিলিনে রূপান্তরিত করা যাবে৷ শিল্পক্ষেত্রে অনেক পণ্যের মৌলিক উপাদানই এথিলিন৷ মাটিয়াস ড্রিস বললেন, ‘‘যে দিকেই তাকান, দেখবেন এথিলিনের চাহিদা রয়েছে৷ এতকাল পেট্রোলিয়াম থেকেই তা পাওয়া যেত৷ কিন্তু পেট্রোলের ভাণ্ডার কমেই চলেছে৷ ফলে আমাদের বিকল্প উৎসের খোঁজ করতেই হচ্ছে৷ মিথেনও এমন এক উৎস৷''

পরীক্ষার জন্য যে সব ক্যাটালিস্টের প্রয়োজন, তা গবেষকদের নিজেদেরই তৈরি করে নিতে হয়৷ বেশিরভাগের মধ্যেই নিকেল জাতীয় ধাতু থাকে৷

২০০৭ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ও ক্যাটালিস্ট গবেষণার জনক গেয়ারহার্ড অ্যার্টল এই প্রকল্পের উপর নজর রাখছেন৷ বহু দশক ধরে তিনি গভীর আগ্রহের সঙ্গে ক্যাটালিস্ট প্রকল্পের উপর নজর রাখছেন৷ মিথেন থেকে এথিলিন বের করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সেটা বুঝিয়ে বললেন৷ তিনি বললেন, ‘‘এই রূপান্তর প্রক্রিয়া অপরিহার্য৷ অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চলছে, সাফল্যও পাওয়া গেছে৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এর খরচ এখনো খুব বেশি৷ আগামী কয়েক বছরে এ নিয়ে আরও কাজ করতে হবে৷''

একশো বছর আগেও বার্লিনের পশ্চিম এলাকা বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র ছিল৷ আজ গবেষকরা এক ধরনের মিনি-কারখানায় বড় আকারে মিথেনকে এথিলিনে রূপান্তরিত করছেন৷ অ্যার্টল ঠিক এটাই চাইছিলেন৷ মাটিয়াস ড্রিস বললেন, ‘‘গেয়ারহার্ড অ্যার্টল আমাদের একটি পথ দেখিয়েছেন৷ দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য ধরে গবেষণা চালিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছেন৷''

আজ তরুণ প্রজন্মের গবেষকরা এখানে কাজ করছেন৷ ক্যাটালিস্ট গবেষণা সফল হবে কি না, সেটা তাদের কাজের উপরও নির্ভর করছে৷ পরিবেশবান্ধব রসায়নের সাফল্যও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে৷