1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আকাশ ছোঁয়ার কৌশল

লেয়া প্যোটার / আরবি১৭ মে ২০১৪

এক ধরনের পরিযায়ী রাজহাঁসকে বলা হয় ‘বার হেডেড গুজ’ বা দাগি রাজহাঁস৷ এই হাঁসগুলিকে ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্য এশিয়ার নানা দেশে দেখা যায়৷ এইগুলিকে রীতিমত দক্ষ অ্যাথলিট বলা যায়৷

https://p.dw.com/p/1C1Li
Streifengans
ছবি: CC BY Tarique Sani

শীতের সময় এই পাখিগুলি মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিযায়ী হয়ে আসে৷ বসন্তকালে আবার মধ্য এশিয়ায় চলে যায়৷ সেখানকার পার্বত্যাঞ্চলে ও জলাশয়ে বিচরণ ও প্রজনন করে৷ এ জন্য তাদের ৭০০০ মিটার উঁচু হিমালয় অতিক্রম করতে হয়৷ আট ঘণ্টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয় পার হতে পারে তারা অনায়াসে৷

Himalaya-Gebirge
আট ঘণ্টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয় পার হতে পারে তারা অনায়াসেছবি: picture-alliance/dpa

উঁচুতে ওঠা কোনো সমস্যাই নয়

এত উঁচুতে বাতাসও বেশ পাতলা৷ অর্ধেক অক্সিজেনে কাজ চালিয়ে নিতে হয় তাদের৷ এটা অবশ্য পাখিগুলির জন্য কোনো সমস্যাই নয়৷ এই পাখিগুলি কেমন করে এই পরিস্থিতি কাটাতে পারে, সেটা জানার চেষ্টা করছেন গবেষকরা৷ এ জন্য স্বচ্ছ একটি প্লাস্টিকের বাক্সে রানিং ব্যান্ডে দৌড়াতে দেন হাঁসগুলিকে৷ অক্সিজেনের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দেন৷ অনেকটা হিমালয়ের আবহাওয়ার মতো৷ হাঁসগুলি তাদের গতি ১৫ মিনিট ধরে রাখতে পারে৷ ‘‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পর্বাতারোহীদের জন্যও এটা অসম্ভব৷'' বলেন পর্বতারোহী শ্টেফান নেশ্টলার৷ ৭২০০ মিটার উঁচু মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন তিনি৷ তাই উঁচুতে ওঠার সমস্যাটা ভালভাবে জানেন৷ মানুষের শরীর ধীরে ধীরে কম অক্সিজেনে অভ্যস্ত হয়৷ অনেক দিন বা সপ্তাহও লেগে যায়৷ পর্বাতারোহীদের মাঝে মাঝে ঘুমের জন্য বিরতি দিতে হয়৷ এছাড়া এক স্থান থেকে আরেক স্থান পর্যন্ত একটানা ৩০০ মিটারের বেশি ওপরে ওঠা উচিত নয়৷ ‘‘৭,০০০ মিটার উঁচুতে পাঁচ পা যাওয়ার পরই তো আমার হাঁপ ধরে যায়৷'' বলেন নেস্টলার৷

কৌশলটা কী?

প্রশ্ন জাগতে পারে, পরিযায়ী হাঁসগুলি কোন কৌশলে কোনো রকম অসুবিধা ছাড়াই এই পথ অতিক্রম করতে পারে?

পেশির কাজের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন৷ এটি রক্তের লোহিতকণিকার মাধ্যমে বাহিত হয়৷ দেহের সেল বা কোষে অক্সিজেন থেকে শক্তি সৃষ্টি হয়৷ পরিযায়ী হাঁসগুলির সুবিধা হলো তাদের পেশিতে বহু রক্ত-ধমনী রয়েছে৷ এজন্য ভালভাবে রক্ত সরবরাহ হয়৷ মনে করেন গবেষকরা৷ এছাড়া তাদের রক্তের লোহিতকণিকা কিছুটা ভিন্ন ধরনের৷ এটা অক্সিজেন শক্ত করে ধরে রাখতে পারে৷ এই কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেশিতে আসতে পারে৷

প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে

আর একটা কৌশল হলো: এই পাখিদের মাইটোকন্ড্রিয়া রক্তের ধমনী সংলগ্ন থাকে৷ তাই তারা দ্রুত অক্সিজেন গ্রহণ করে শক্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে৷

এইভাবে শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে বলেই হাঁসগুলি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উঁচু পথ অতিক্রম করতে পারে৷ এই রকম হলে পর্বতারোহীদের হয়তো উঁচুতে উঠতে বাধ্যতামূলক বিশ্রাম নিতে হতো না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য