1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরীক্ষামূলক উড়াল সফল, তবে অনুমতি নেই স্বাভাবিক যাত্রার

১৯ এপ্রিল ২০১০

ইউরোপের বিমান সংস্থাগুলো ছাইমেঘের মধ্যেই চালিয়েছে পরীক্ষামূলক উড়াল৷ এবং সেগুলো সফলভাবেই ফিরে এসেছে ভূমিতে৷ কিন্তু তারপরও অনুমতি মিলছে না স্বাভাবিক উড়াল পরিচালনার৷

https://p.dw.com/p/Mznb
ছবি: AP

টানা চতুর্থ দিনের জন্য ইউরোপের অধিকাংশ এলাকায় বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ রবিবার কিছু বিমানবন্দর সীমিত সময়ের জন্য আংশিকভাবে খুলে দেয়া হয়৷ এসময় অপেক্ষাকৃত নিরাপদ গন্তব্যে হাজার পাঁচেক উড়াল চলেছে৷ অবশ্য তারপরও প্রায় সাত মিলিয়ন বিমানযাত্রী অপেক্ষায় রয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে৷

এরইমাঝে ছাইমেঘ আসলেই বিমানের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষার জন্য উড়াল পরিচালনা করেছে লুফৎহান্সা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, কেএলএমসহ বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা৷ কিন্তু তাদের পরীক্ষায় বিমানের জন্য ক্ষতিকর কিছুই পাওয়া যায়নি৷ এই প্রসঙ্গে রবিবার পরীক্ষামূলক উড়াল শেষে লুফৎহান্সার পাইলট ভের্নার ক'নর জানান, ‘‘অস্বাভাবিক বলতে আমরা যা দেখেছি তা হলো এই যে, এদিন আমরাই একমাত্র একটি বড় জেট নিয়ে জার্মানির আকাশে উড়েছিলাম৷''

Island Vulkanausbruch Eyjafjallajökull März 2010 Flash-Galerie
থামছে না অগ্নুৎপাতছবি: flickr/Daniel Örn

স্বভাবতই পরীক্ষামূলক উড়ালের ইতিবাচক ফলাফল দেখে ইউরোপের সরকারবর্গের কাছে ছাইমেঘের মধ্যেই বিমান যাত্রার বিষয়টি পুর্নবিবেচনার আহ্বান করেছে ৩৬টি সংস্থা৷ কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে কোন রকমের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কোন দেশ৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এটি বিমান যাত্রায় আমাদের দেখা অন্যতম বড় বিপত্তি৷ তবে, আমরা সবার আগে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেবো৷''

একইধরণের মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের পরিবেশ মন্ত্রী জাঁ-লুই বোর্লু৷ তাঁর কথায়, পরীক্ষামূলক উড়াল সফল হওয়ার অর্থ এই নয় যে, আমরা বিমান চলাচলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবো৷

এদিকে, যে ছাইমেঘ নিয়ে এত বিড়ম্বনা সেটির উৎপত্তি বন্ধের কি কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভূবিজ্ঞানী এবং আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ রায়নির বোয়েডভার্সন জানান, ‘‘আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরিত হওয়া যাবৎ আমরা তার গতিবিধি কিছুমাত্র কমেছে বলে দেখতে পাচ্ছিনা৷ পূর্বাপর একটানা বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে৷ যার ফলে ছাই নির্গত হচ্ছে৷ অর্থাৎ পরিবর্তনের কোন লক্ষণ নেই৷ এবং এভাবে বেশ কিছুদিন, সপ্তাহ কিংবা মাস ধরে চলতে পারে৷''

জার্মানির বিমান চলাচল সম্পর্কে সর্বশেষ যে তথ্য, তা'তে দেখা যাচ্ছে, রবিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরসহ ৬টি বিমানবন্দর কিছু সময়ের জন্য খুলে দেয়া হলেও রাত বারটা নাগাদ আবারো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ ফলে জার্মানির সবকটি আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরই বন্ধ থাকবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী