1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরোক্ষ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা শুরু

৯ মে ২০১০

দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার আবারো শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা৷ তবে দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হচ্ছে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েল৷

https://p.dw.com/p/NJpO
মার্কিন দূত জর্জ মিচেল এবং প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে বৈঠকছবি: AP

মার্কিন মধ্যস্থতায় আবারো শুরু হয়েছে পরোক্ষ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা৷ রবিবার, প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ দূত জর্জ মিচেল বৈঠক করেন৷ এরপরই প্যালেস্টাইনের প্রধান আলোচক সায়েব এরেকাত শান্তি আলোচনার ঘোষণা দেন৷ তিনি বলেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছি যে, পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে৷ আমরা আশা করছি, মানে যেমনটা আমাদের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যে শান্তি প্রক্রিয়ার মার্কিন উদ্যোগ যাতে সফলতার সঙ্গে শেষ হয় সেজন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং সিনেটর মিচেলকে আমরা সকল প্রকার সহায়তা করবো৷

সায়েব বলেন, এই আলোচনা প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ তবে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোন সমঝোতা হচ্ছে না৷ তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করবো জর্জ মিচেল এবং অ্যামেরিকার সঙ্গে এবং তারা দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করবে৷

এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় সম্মত হবার কারণ ব্যাখ্যা করেছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পি.এল.ও৷ সংগঠনের নির্বাহী সদস্য ইয়াসির আবেদ রাব্বো জানিয়েছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পাবার পর আমরা আলোচনায় রাজি হয়েছি৷ শান্তি আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো হুমকি মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক অবস্থান নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে এবং এই সমঝোতায় দুই পক্ষে মধ্যে পরোক্ষ আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এই আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন বটে, তবে তিনি সরাসরি উন্মুক্ত আলোচনার পক্ষে৷ নেতানিয়াহু বলেন, পরোক্ষ আলোচনা দ্রুত সরাসরি আলোচনায় রূপ নেয়া উচিত৷ একই টেবিলে না বসলে আমরা আমাদের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধান করতে পারবো না৷

অবশ্য দুই পক্ষই আশা করছে, পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় ইসরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের সব ইস্যুই প্রাধান্য পাবে৷ বিশেষ করে সীমান্ত নির্ধারণ, নিরাপত্তা এবং জেরুসালেম সংকটের মতো বিষয়গুলো নিয়েই চলবে আলোচনা৷

উল্লেখ্য মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের পরোক্ষ আলোচনা শুরুর কথা ছিল গত মার্চেই৷ কিন্তু সেসময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেমে ১৬০০ নতুন বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিলে আলোচনা ভেস্তে যায়৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন