1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে অনিশ্চয়তায় ভুগছে বামফ্রন্ট

২৩ মার্চ ২০১১

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আর দেরি নেই৷ সকলের মনেই প্রশ্ন, ৩৫ বছরের শাসনের পর পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের বিদায় কি আসন্ন?

https://p.dw.com/p/RBfW
জনগণের প্রত্যাশা কী পূরণ হবে?ছবি: AP

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট গত ৩৫ বছরে এত বেকায়দায় কখনও পড়েনি৷ বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-সহ বাম নেতারা যেখানেই ভাষণ দিচ্ছেন, সেখানেই মাওবাদী এবং বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর দোষারোপ করছেন রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা রাজনৈতিক অশান্তি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার জন্য৷ কিন্তু ঘটনা হল, ক্ষমতার পালাবদলের জন্য শুধু বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরই যে অধৈর্য হয়ে উঠেছে, তা নয়, সাধারণ ভোটাররাও এবার পরিবর্তন চাইছেন৷ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে বামপন্থীদের মধ্যে যে ত্রুটি বিচ্যুতি শিকড় গেড়ে বসেছে, একেবারে জড় শুদ্ধ তার উচ্ছেদ চাইছেন মানুষ৷

Frauen des Rabha Stammes
ছবি: DW

অথচ গত বিধানসভা নির্বাচনেই ২৩৫ আসনের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতিয়ে এই বামফ্রন্টকেই ক্ষমতায় এনেছিল পশ্চিমবঙ্গ৷ আজ বাম নেতারা যে রাজনৈতিক অশান্তির কথা বলছেন, গতবারের ভোটের রায় ছিল সেই অশান্তির বিরুদ্ধে, স্থায়িত্ব আর উন্নয়নের পক্ষে৷ কিন্তু নিদারুণভাবে হতাশ করেছে এই সরকার৷ উন্নয়নের বদলে মানুষ দেখেছে কৃষকদের চাষের জমি কেড়ে নেওয়া সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রাম৷ যে কারণে বাম নেতারা নিজেরাই এখন বাধ্য হচ্ছেন আত্মসমালোচনার সুরে সেই ভুল স্বীকার করতে৷

কিন্তু মানুষ এতটাই বিরক্ত, এতটাই হতাশ যে এবার হয়তো তারা ফের উন্নয়নের কথায় আস্থা রাখবেন না৷ যদিও বামফ্রন্টের নিজেদের ভেতরের পর্যালোচনা হল, গতবারের মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এবার ১৫০ থেকে ১৬০টি আসন তারা পাবে৷ এবং তারাই ফের সরকার গঠন করবে৷ কিন্তু কোনওভাবেই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না নেতারা৷ যে কারণে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে তাঁরা এবার কার্যত সমর্থন ভিক্ষা করছেন জনসভায়৷ যে বিচক্ষণতা, যে বিনয় গত ৩৫ বছরে দেখা গেলে হয়তো এতটা নিচু তাদের হতে হত না৷ এমন রাজনৈতিক সংকটেও তাদের পড়তে হত না৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন