1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ১১ জেলায় খরা

১৭ আগস্ট ২০১০

বৃষ্টিপাতের ঘাটতি অন্তত ৩০ শতাংশ৷ কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত৷ পশ্চিমবঙ্গের ১১টি জেলায় এখন সরকারিভাবে খরা পরিস্থিতি ঘোষিত হল৷

https://p.dw.com/p/Op2d
drought in india
বৃষ্টির অভাবে ফসলের মাটি ফেটে গেছেছবি: dpa

সোমবার সরকারের এই ঘোষণা এসেছে৷ জেলাগুলো হল- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর৷ মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী নরেন দে, সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্কর এবং খাদ্যমন্ত্রী পরেশ অধিকারী একটি বৈঠক করেন৷ তার পরই অর্থমন্ত্রী ১১ জেলায় খরা পরিস্থিতি ঘোষণা করে জানান, অবস্থা সামাল দিতে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার৷ কৃষিমন্ত্রী নরেন দে জানান, রাজ্যের ১১ লক্ষ হেক্টর জমি সরকারি হিসেবে খরা কবলিত৷ এর মধ্যে সাত লক্ষ হেক্টর জমিতে ক্ষুদ্র সেচের মাধ্যমে ফসল ফলানো হবে৷

অসীম দাশগুপ্ত এদিন সাংবাদিকদের জানান, খরা পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখতে প্রতিনিধি পাঠাবার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ারকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্যদিকে ডিজেলে ভর্তুকি বাড়িয়ে দু টাকা করছে সরকার৷ এতে ট্র্যাক্টর বা পাম্প সেট চালাবার খরচ যেমন কমবে, তেমিন পরিবহন খরচও কমে আসবে৷

তবে খরার কারণে খাদ্যশস্যে ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন৷ যদি কোনো আড়তদার অবস্থার সুযোগ নিয়ে খাদ্যদ্রব্য বেআইনিভাবে মজুত করে তাহলে তার শাস্তি হবে, বলেছেন অর্থমন্ত্রী৷ প্রসঙ্গত, পরিবহণমন্ত্রী রঞ্জিত কুন্ডু বলেছেন, যেহেতু ডিজেলে সরকারি ভর্তুকি বাড়ানো হল, বাস-ট্যাক্সি ভাড়াও নিশ্চই আর বাড়াবেন না মালিকরা৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কোলকাতা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ