1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের বিপর্যয় ও জার্মান সংবাদ মাধ্যম

৩০ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যার প্রভাব যে দীর্ঘস্থায়ী হবে, এবিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই৷ জার্মান সংবাদ মাধ্যমেও এই বিপর্যয়ের নানা দিক তুলে ধরা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/Oz5z
চাই মাথা গোঁজার স্থানছবি: AP

পবিত্র মাহে রমজান মাসে এমন এক মারাত্মক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কি পাকিস্তানের মানুষের ধর্মবিশ্বাসের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছে বলে মন্তব্য করেছে ‘নয়ে স্যুরশার সাইটুং'৷ টেলিভিশনে ধর্মীয় প্রচারকরা এই সুযোগে নিজস্ব ধ্যান-ধারণা তুলে ধরছেন বটে, কিন্তু সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের মতো পাঞ্জাবি কবি আশু লাল মনে করেন, এই বিপর্যয়ের মূল কারণ মাত্রাহীন লোভ ও দেশকে কার্যত ধর্ষণ করার সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা৷ নদীর অববাহিকায় যেভাবে নির্মাণের কাজ চালানো হয়েছে, তার ফলে নদীর গতিপথে পদে পদে বাধার সৃষ্টি হয়েছে৷ সিন্ধু আবার যখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে, তখন সেই পথ আর খুঁজে পায় নি৷

সাপ্তাহিক ‘ডি সাইট' পত্রিকায় মহসীন হামিদ নিজের প্রিয় দেশের বিপর্যয়ের খতিয়ান তুলে ধরেছেন৷ প্রাথমিকভাবে বর্ষার ছন্দ দেখে অশনী সঙ্কেত না পাওয়া গেলেও পরে তার তেজ টের পাওয়া গেছে৷ লেখকের মতে, পাকিস্তানে বসবাস করার অর্থই হল আশা ও বিহ্বলতার দুই মেরুর মধ্যে বিচরণ করা৷ রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের দুর্বলতা এই সমস্যাগুলিকে আরও কঠিন করে তুলেছে৷ কর বাবদ আয়ের মাত্রা নামমাত্র৷ দেশের এলিট শ্রেণী মানুষের কল্যাণে অবদান রাখতে নারাজ৷ অথচ রাষ্ট্রের আয় বাড়িয়ে সমৃদ্ধির সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে পারলে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷ এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হলে উগ্রবাদী শক্তির দৌরাত্ম্যেরও মোকাবিলা করা সম্ভব হবে৷ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখাচ্ছে না, কারণ তাদের কাছে মূল শত্রু ভারত৷ দুই দেশের ক্ষমতাকেন্দ্রেই এমন কিছু কট্টরপন্থী প্রতিনিধি রয়েছেন, যাঁরা শান্তি চান না৷

Flash-Galerie Pakistan Überschwemmung
চাই অন্নছবি: AP

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব তুলে ধরেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড' সংবাদপত্র৷ সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় আবার সেই জেনারেলদের ডাক পড়েছে৷ লন্ডনে নির্বাসিত এমকিউএম নেতা আলতাফ হুসেন এমনকি সরাসরি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, যে সব রাজনৈতিক নেতা নিজেদের জমির ফসল বাঁচাতে বন্যার জলের ধারা গরিবদের গ্রামের দিকে চালিত করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত৷ এই প্রসঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকারের একাধিক দুর্বলতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ