1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে জঙ্গি বিমান হামলা: বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি

১৪ এপ্রিল ২০১০

হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ২ জন জানিয়েছেন, খাইবার উপজাতীয় এলাকায় বিমান হামলায় নিহত সবাই গ্রামবাসী৷ একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারকে ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/MveW
পাকিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর লড়াই (ফাইল ফটো)ছবি: AP

পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চল খাইবারে সেনাবাহিনীর জঙ্গি বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷

আফগান সীমান্ত সংলগ্ন ঐ অঞ্চলে, পাকিস্তানী জঙ্গি বিমান শনিবার হামলা চালায়৷ তবে অঞ্চলটি দুর্গম হওয়ায়, বিমান হামলার খবরটি প্রকাশ পায় অনেক পরে৷ জঙ্গি বিমানগুলো কাছাকাছি ওরাকজান উপজাতীয় অঞ্চলে তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়৷ পাকিস্তান সেনাবহিনী বেসামরিক নাগরিক নিহত হবার কথা অস্বীকার করেছে, তারা বলছে, জঙ্গিরা গ্রামটিতে সমবেত হয়েছিল৷

হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ২ জন জানিয়েছেন, খাইবার উপজাতীয় এলাকায় বিমান হামলায় নিহত সবাই গ্রামবাসী৷ একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারকে ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে৷

গত ১৮ মাসে ঐ অঞ্চলে বিমান হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, চালক বিহীন মার্কিন বিমান হামলায় সোমবার ১৩ জন নিহত হয়েছে৷ সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আখতার আব্বাস সংবাদ সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, ঐ অঞ্চলে জঙ্গিরা সমবেত হয়েছে, এইরকম গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঐ বিমান হামলা চালায়৷ বেসামরিক নাগরিক নিহত হবার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রাথমিক খবর অনুয়ায়ি নিহতরা সন্দেহভাজন জঙ্গি৷ এদিকে একজন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, নিহতরা সবাই নির্দোষ বেসামরিক নাগরিক৷ নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে৷ বিমান হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন৷ আহতদের কাছের শহর পেশাওয়ারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

ত্রান সংস্থাগুলো বলছে, পাকিস্তান এবং প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের কারণে দশ লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছে৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম