1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে রাজনীতি আর বিচার বিভাগের দ্বন্দ্ব

২৮ অক্টোবর ২০১০

পাকিস্তানের জন্য নতুন এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি আর বিচার বিভাগের তীব্র দ্বন্দ্ব৷ বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সাংবিধানিক আইন সংশোধনের সরকারি প্রস্তাব নিয়ে দ্বন্দ্বটা জোরদার৷

https://p.dw.com/p/PqpA
পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর বৈঠকছবি: AP

আপাতত দু'পক্ষের সামনা সামনি লড়াইটা অবশ্য ঠেকানো গেছে৷ পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট সংশোধনী প্রস্তাবটি পুনরায় বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে৷

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি - পিপিপি শাসিত সরকারের সমর্থনপুষ্ট প্রস্তাবটি গত এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয়৷ এই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে উচ্চতর আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে তৈরি একটি কমিটিকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু আদালতে তার বিরোধিতা করা হয়৷

Pakistan Nawaz Sharif und Asif Zardari in Islamabad
পাকিস্তানের বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিছবি: picture-alliance/ dpa

পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের ১৭ সদস্যের একটি বেঞ্চের সামনে চার মাস ধরে সংশ্লিষ্ট পিটিশনের শুনানি হয়৷ তারপরই এই বেঞ্চ সংশোধনী পর্যালোচনা করার জন্য পার্লামেন্টকে তিন মাস সময় দিয়েছে৷ একই সঙ্গে বিচারক নিয়োগের ব্যাপারে বিচার বিভাগকেই অনেক বেশি ক্ষমতা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট-এর এই বেঞ্চ৷

ইসলামাবাদ সরকার আশঙ্কা করছিল, সুপ্রিম কোর্ট হয়ত সংশোধনী প্রস্তাবটিকে বৈধতাহীন ঘোষণা করে বাতিল করে দিতে পারে৷ করলে সরকারের সঙ্গে শুরু হয়ে যেত চরম বিরোধ৷ বিচারপতিরা সেই বিরোধ এড়াতে বিষয়টি পার্লামেন্টের কাছেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন৷

দেশের বিচার বিভাগ ও পিপিপি সরকারের মধ্যকার সম্পর্কে বড় রকমের টানাপোড়েন চলেছে৷ তার কারণ প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে আগের দুর্নীতি মামলাগুলো আবার চালু করার জন্য চাপ দিচ্ছে আদালত৷ সরকার অবশ্য তাতে কান দিচ্ছেনা৷

এমনিতেই পাকিস্তানকে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে গিয়ে জেরবার হতে হচ্ছে৷ সেখানে শীর্ষ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেই যদি বিরোধ তীব্র হতে থাকে তাহলে সরকারের সন্ত্রাস দমনের উদ্যোগ আরও বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক