1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে সুফি মাজারে আবার তালেবানের হামলা

৮ অক্টোবর ২০১০

লাহোরের পর এবার করাচির সুফি মাজারে জোড়া বোমা হামলা চালিয়েছে তালেবান৷ পুলিশ ধারণা করছে এগুলো আত্মঘাতী হামলা ছিল৷ আরব সাগরের কোল ঘেঁষে থাকা ক্লিফ্টন এলাকার একটি সুফি মাজারে হামলা দুটি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/PYwX
বোমা হামলার পর দুই সন্তানকে খুঁজছেন এক মাছবি: AP

এতে দুই শিশু সহ নয়জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন৷ আর আহত হয়েছেন ৬০ জন৷ ধর্মপ্রাণ মানুষরা সাপ্তাহিক এক প্রার্থনায় যোগ দিতে মাজারে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সেসময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ গুল মোহাম্মদ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, হামলার সময় তিনি মাজারের বাইরে ছিলেন৷ এমন সময় তিনি বিকট শব্দ শুনতে পান৷ এরপর মাজারের ভেতরে গিয়ে মেঝেতে রক্ত আর মানুষের শরীরের মাংস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেখতে পান৷ পাকিস্তানি তালেবান এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিএনএন৷

তালেবান সুফি মাজারেই কেন হামলা করে

কারণ তালেবান মনে করে সুফিদের এমন কিছু রীতি রয়েছে যেটা ইসলামিক নয়৷ তাই সুফিদের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান নেই তালেবানের, বলেছেন পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী সানাউল্লাহ খান৷ তাইতো মাঝে মাঝেই সুফি মাজারে হামলা চালায় তালেবান৷ গত জুলাইতে লাহোরেও তেমনি একটি হামলা হয়েছিল৷ সেসময় ৪০ জন নিহত হয়েছিল৷

সরকারের প্রতিক্রিয়া

প্রত্যেক হামলার পর সরকার যেটা করে এবারও সেটা করেছে৷ কেন এই হামলা হলো সেটা বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তারা কাজও শুরু করেছে৷ আর নিরাপত্তার জন্য আপাতত করাচির সব মাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷ অ্যামেরিকার পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে৷

গত তিন বছরে তালেবান ও আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় পাকিস্তানে প্রায় ৩,৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা