1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান ও কিউবায় বিমান দুর্ঘটনা, সব আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা

৫ নভেম্বর ২০১০

পাকিস্তান এবং কিউবায় দু’টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ বিধ্বস্ত বিমান দু’টি থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি৷ করাচিতে ভেঙ্গে পড়া বিমানে ২২ জন এবং কিউবার বিমানটিতে ছিল ৬৮ জন আরোহী৷

https://p.dw.com/p/PzID
বিমান দুর্ঘটনা বাড়ছে (ফাইল ফটো)ছবি: AP

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের শহর করাচির বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছোট বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে৷ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিমানটিতে ২২ জন আরোহী ছিল৷ দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র পারভেজ জর্জ জানান, এটি পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার কয়েক মিনিট আগেও ইঞ্জিনে ত্রুটির কথা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়েছিলেন চালক৷

বিমানটিকে অবতরণ করতে বলা হলে চালক এটিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷ বাঁক নেওয়ার সময়ই এটি একটি ফাঁকা মাঠে ভেঙ্গে পড়ে৷ ভূমি ছোঁয়ার পর এটিতে আগুন ধরে যায়৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় উদ্ধারকারী দল৷ কিন্তু সেখানে কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের নেতা সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূর আলম৷

এদিকে, মধ্য কিউবায় দুর্ঘটনার শিকার বিমানটিতে যাত্রী ছিল ৬১ জন৷ এছাড়া সাত জন ক্রু ছিল৷ যাত্রীদের মধ্যে ৪০ জন কিউবার এবং ২৮ জন বিদেশি নাগরিক বলে খবর৷ সান্টিয়াগো থেকে বিমানটি হাভানা যাচ্ছিল৷ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ছয়টায় গুয়াসিমাল এলাকায় এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷

কিউবার টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, দেশটির রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ারো ক্যারিবিয়ান এর এটিআর -৭২-২১২ বিমানটি ভেঙ্গে পড়ার আগে সেটি থেকে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷ গুয়াসিমাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, বিমানে থাকা কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি৷ ভগ্নাবশেষ থেকে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম