1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পানির স্রোতের গতি-প্রকৃতির গুরুত্ব

৩ জানুয়ারি ২০১৭

পানির স্রোত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে মৌলিক গবেষণা যে বাস্তব জগতের জন্যও কতটা জরুরি, সাম্প্রতিক গবেষণা তা দেখিয়ে দিচ্ছে৷ রাসায়নিক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে অন্য অনেক জরুরি পরিস্থিতিতে তা কাজে লাগতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2V91y
Kuba Einsamer Strand von Cayo Coco
ছবি: imago/imagebroker/puchinger

ড্রেসডেন শহরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানীরা একটি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন৷ টেবিল টেনিস বল ব্যবহার করে তাঁরা জানতে চান, পানির স্রোত কোনো বাধা অতিক্রম করতে চাইলে ঠিক কী হয়৷ ফ্লো প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রো. ইয়খেন ফ্র্যোলিশ বলেন, ‘‘আমাদের আগ্রহ এমন সব জটিল বিষয় নিয়ে, যা উত্তাল স্রোতের মধ্যে দেখা যায়৷ সেই স্রোতের সঙ্গে অন্য কোনো বস্তুর ইন্টার-অ্যাকশনের ফলে যা ঘটে, তার কিছু নমুনা আমরা দেখেছি৷''

 তথাকথিত ‘বাবল কলাম' বা বুদবুদের স্তম্ভ শিল্পক্ষেত্রেও প্রায়ই কাজে লাগানো হয়৷ কারণ পানির বুদবুদ রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করতে সাহায্য করে৷ প্রো. ফ্র্যোলিশ বলেন, ‘‘বুদবুদ যখন উপরে ওঠে, তখন আমরা তার গতিপথ লক্ষ্য করে দেখতে পারি, যে সেটি আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে যায়৷ তার উপর বসে উপরে উঠতে থাকলে মনে হবে, আমি যেন এয়ারস্ট্রিম দেখতে পাচ্ছি৷ একটু অন্যরকম হলেও পানির স্রোতের ক্ষেত্রেও প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা যায়৷ একটি চেবিল টেনিস বল স্রোতের সঙ্গে উপরে উঠে আসে৷ স্রোত ও বলের গতিশীল চরিত্রের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আমরা আরও তথ্য সংগ্রহের আশা করছি৷''

বিজ্ঞানীরা বালুর মতো কঠিন পদার্থ নিয়ে অত্যন্ত জটিল মডেল তৈরি করছেন৷ তাঁদের গবেষণার লক্ষ্য হলো নদী ও হ্রদের পানির নীচে যে সব ‘সেডিমেন্ট' বা তলানি চলাচল করে, সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা৷ এমনকি পানির নীচে অ্যালজি চলাচল ও তাদের প্রতিক্রিয়ারও পূর্বাভাষ দেওয়া সম্ভব৷ প্রো. ফ্র্যোলিশ বলেন, ‘‘এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হয়েছে৷ ভেবে দেখুন, পানির মধ্যে যে অ্যালজি তার পাতা ও কাণ্ড আছে, তার একটা আকার আছে, বেশ জটিল জ্যামিতিক বৈশিষ্ট্য আছে৷ সেই সব বিষয় বাদ দিয়ে আমরা শুধু মৌলিক বিষয়টি পরীক্ষা করছি৷''       

 ছাত্রছাত্রীরা ফ্লো চ্যানেল ও উইন্ড টানেলের মধ্যে অ্যালজি পরীক্ষার মডেল তৈরি করেছেন৷ সেখানে অ্যালজির নাড়াচাড়ার ফলে পানির মধ্যে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া নকল করা হয়েছে৷ এ বিষয়ে তাদের উৎসাহের ঘাটতি নেই৷ চূড়ান্ত গবেষণা না হওয়ার ফলে এমন প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়৷ অ্যালজি নিয়ে পরীক্ষা সম্পর্কেও বিপুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷  প্রো. ফ্র্যোলিশ বলেন, ‘‘এই ইন্টারঅ্যাকশন পুষ্টি ও ক্ষতিকারক পদার্থের ক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ যেমন রাসায়নিক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পানির মধ্যে ক্ষতিকারক পদার্থ কীভাবে মিশে যাচ্ছে এবং উদ্ভিদ জগতের কতটা ক্ষতি হচ্ছে, বিপদের সীমা অতিক্রম করা হচ্ছে কিনা সেটা জানা জরুরি৷''

ড্রেসডেন শহরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আজ এ ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রেও এমন মৌলিক গবেষণা অত্যন্ত মূল্যবান৷ যেমন প্রাণীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা৷ ফ্লো চ্যানেলের মধ্যে চার পায়ের সব জীবজন্তু নিয়েও পরীক্ষা চলছে৷ কুকুর, ঘোড়া – এমনকি উটও আরামদায়ক উষ্ণ পানিতে তাদের পা চালাতে পারে৷ বিপরীত স্রোত শুধু মানুষের জন্যই উপকার বয়ে আনে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান