1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাপানদ্রেয়াউ গ্রিসের জন্য অর্থসাহায্য চাননি : ম্যার্কেল

৬ মার্চ ২০১০

গ্রিসের জন্য এক্ষুনি কোনরকম অর্থসাহায্য করতে দৌড়চ্ছে না জার্মানি৷ বরং, যে আর্থিক সংকোচন নীতি নিয়ে এগোচ্ছে গ্রিস, চ্যান্সেলর ম্যার্কেল মনে করেন তা যথাযথ৷ ম্যার্কেল পাপানদ্রেয়াউ বৈঠকের পর একথাই শোনা গেল বার্লিনে৷

https://p.dw.com/p/MLeN
ম্যার্কেল পাপানদ্রেয়াউ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায়ছবি: picture alliance / dpa

আর্থিক মন্দার মার খেয়ে দুর্বিপাকে পড়া দক্ষিণ ইউরোপের দেশ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেয়াউ শুক্রবার সন্ধ্যায় জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকে বসে একবারও অর্থসাহায্য চাননি তাঁর দেশের জন্য৷ ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ জার্মানি অতএব এই মুহূর্তে গ্রিসকে অর্থসাহায্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে না৷ বরং জার্মানির সঙ্গে একজোটে গ্রিস একটি যৌথ সরকারি কমিশন তৈরি করবে বলে ঘোষণা শোনা গেছে বৈঠকের পর আয়োজিত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে৷ যে কমিশনের দায়িত্ব হবে আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে অ্যাথেন্সকে সাহায্য করা৷

দেনার বিপুল ভার এবং রীতিমত ক্ষতিতে চলা অর্থনীতি, সবকিছু মিলিয়ে গ্রিসের চরম পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে কড়া ব্যয়সংকোচনের দাওয়াই খাওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী পাপানদ্রেয়াউ৷ তাঁর এই ব্যয়সংকোচনের প্রস্তাব প্রকাশিত হওয়া মাত্র গ্রিসে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন৷ শুক্রবার গ্রিসের সংসদ যখন প্রধানমন্ত্রীর আনা এই প্রস্তাব অনুমোদন করছিল, সে সময়েও দেশজুড়ে ছিল ধর্মঘটের পরিস্থিতি৷ হাজার হাজার শ্রমিক, ,সরকারি কর্মচারিরা সামিল ছিলেন সেই ধর্মঘট, বিক্ষোভে৷ সংসদভবনের ঠিক বাইরে কয়েক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ দেখান এদিন সরকারি ব্যয়সংকোচন নীতির প্রতিবাদে৷

Griechenland Finanzkrise Athen Demonstration Flash-Galerie
অ্যাথেন্সের সংসদভবনের সামনে বিক্ষোভের ছবি, শুক্রবার৷ছবি: AP

গ্রিক প্রধানমন্ত্রী যে চরম ব্যয়সংকোচন নীতি নিয়েছেন দেশকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনতে, সে বিষয়ে ম্যর্কেল সহ অন্যান্য ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ সমর্থন জানালেও অর্থনীতির পন্ডিতদের একাংশ কিন্তু মনে করছেন, এই পদ্ধতি গ্রিসকে আরও সমস্যার দিকেই ঠেলে দেবে৷ কারণ, এতটা কড়াকড়ির ফলে হয়তো আরও মুখ থুবড়ে পড়বে অর্থনীতির কাঠামো৷

শুক্রবার বার্লিনে আসার পথে লুক্সেমবুর্গে একটা দরকারি বৈঠক সেরে যান পাপানদ্রেয়াউ৷ লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি ছিল এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য পথ সন্ধানের বৈঠক৷ মূলত ইউরোগ্রুপের প্রধান জাঙ্কার বিশদে জেনে নেন কী ধরণের সমাধানসূত্র তৈরি করেছে অ্যাথেন্স৷ পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অ্যাথেন্স সঠিক পথই বেছে নিয়েছে৷ এই মুহূর্তে যে ধরণের সংকোচনের প্রয়োজন, তাই করা হচ্ছে৷ ইউরোপ গ্রিসকে সাহায্য করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত৷ তবে যেভাবে অ্যাথেন্স নিজেই সমাধানসূত্র বের করেছে, তাতে জাঙ্কারের অনুমান, সেই সাহায্যের হয়তো বা সেরকম প্রয়োজন পড়বে না৷

বার্লিনে ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের পর গ্রিক প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স হয়ে যাবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ উদ্দেশ্য, আশু সমস্যার সমাধানে সকলের পরামর্শ এবং সমর্থন৷ আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর এই কূটনৈতিক দৌত্য কার্যকরী হচ্ছে বলেই এখনও পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে৷ কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে করবৃদ্ধি করে আর সরকারি কর্মচারিদের বেতন কমিয়ে যে ৪.৮ বিলিয়ন ইউরোর ব্যয়সংকোচন নীতি তিনি নিয়েছেন, তার প্রতিবাদ আন্দোলন কতদূর পৌঁছয়, লক্ষ্য করার মত বিষয় সেটাই৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম