1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাবনায় আওয়ামী লীগের একুশজন নেতা-কর্মী কারাগারে

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

হামলা চালিয়ে ১০ দিন আগে নিয়োগ পরীক্ষা ভন্ডুল ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ২১ জনকে কারাগারে পাঠান হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/PN6R
ছবি: AP

আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলছেন কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেবেনা সরকার৷

গত ১৭ই সেপ্টেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা ভন্ডুল করে দেয় সন্ত্রাসীরা৷ অভিযোগ, শাসক দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন জেলা ছাত্র লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা পরীক্ষা হলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায় ও প্রশ্নপত্র পুড়িয়ে দেয়৷ তারা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও লাঞ্ছিত করে৷ দলীয় লোকজনকে নিয়োগের দাবিতেই ওই তান্ডব চালান হয়৷

ওই ঘটনা সারাদেশে সমালোচনার ঝড় তোলে৷ জেলা প্রশাসন মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে৷ তাদের মধ্যে চারজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ রোববার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলুর নেতৃত্বে বাকি ২১ জন নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পন করেন৷ পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন৷আসামীদের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আহাদ বাবু অবশ্য এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন৷

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগ সকালে তাদের পূর্ব নির্ধারিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়৷ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, সরকার কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেবে না৷ পাবনার ঘটনায় সরকার তাই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷

এদিকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুজিবুর রহমান ফকির রোববার আবারো বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়োগ করা হবে৷ কারন বিগত সরকার কমিউনিটি ক্লিনিককে গোয়ালঘরে পরিনত করছিল৷ জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লোক নিয়োগ করা হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে, দলীয় বিবেচনায় নয়৷

পাবনা শহরে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ আইন-শৃংখলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়