1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাল্টা প্রস্তাব খালেদা জিয়ার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ অক্টোবর ২০১৩

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য থেকে ১০ জনকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1A3Dm
Bangladesh Nationalist Party (BNP) Chairperson Begum Khaleda Zia speaks during a rally before a mass procession in front of their party office in Dhaka January 30, 2012. The main opposition Bangladesh Nationalist Party, BNP and its alliance rescheduled its mass procession demanding the restoration of the caretaker government system, after police banned rallies and processions in the capital and four other cities on Saturday amid fears of violent clashes between the rival parties, local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সেন বেগম খালেদা জিয়া সোমবার বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন যে, ঐ ১০ জন উপদেষ্টার পাঁচজন নির্ধারণ করবে ক্ষমতাসীন দল আর বাকি পাঁচজন নিধারণ করবে বিরোধী দল৷ তবে এই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রধানসহ ১১ জনকে চাইলে সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিতও করা যাবে, ঠিক যেভাবে রাষ্ট্রপতি এবং সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের নির্বাচন করা হয় সেভাবে৷

খালেদা জিয়া তাঁর এই প্রস্তাব নিয়ে সরকারকে আলাপ-আলোনার আহ্বান জানান৷ তিনি যুক্তি হিসেবে বলেন, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা সর্বজন প্রশংসিত এবং তাঁরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দু'টি নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছেন৷ ঐ দু'টি নির্বাচনের একটিতে বিএনপি এবং আরেকটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়৷

খালেদা জিয়ার কথায়, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সর্বদলীয় সরকারের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা অস্পষ্ট৷ তাতে সরকার প্রধান কে হবেন আর কোন দলের কতজন প্রতিনিধি থাকবনে, তা স্পষ্ট নয়৷ এর মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কৌশল করছে৷

তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষ এবং সুশীল সমাজ একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে৷ দেশের মানুষ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না৷ প্রধানমন্ত্রী যে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন, সেই সংবিধান তারা একতরফাভাবে সংশোধন করেছে৷ সুতরাং, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাধাগ্রস্থ করছে৷

খালেদা জিয়া প্রতিজ্ঞা করেন যে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁর, তাঁর পরিবার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর যে অন্যায় অবিচার হয়েছে তার প্রতিশোধ তিনি নেবেন না৷ বরং রাজনীতিতে অশালীন ভাষার ব্যবহার বন্ধ করে সুস্থ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনবেন৷ শুধু তাই নয়, তাদের সরকার কোনো দলীয় সরকার হবে না, হবে জনগণের সরকার৷ সেখানে বিরোধী দলসহ সবার মতামত নেয়া হবে৷ তারা ভবিষ্যতের দিকে তাকাবেন৷ অতীত আশ্রয়ী কোনো চিন্তা করবেন না৷ এছাড়া, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার কথাও বলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী৷

এদিকে, সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, সব দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে সেই নির্বাচন শুধু দেশের মানুষ নয়, দুনিয়ার কোথাও গ্রহণযোগ্য হবে না৷ সব দল নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জোটের ভিতরে বা বাইরে থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি৷ এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তিনি স্তম্ভিত হয়েছেন বলে জানান এরশাদ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য