1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘পিংক প্যান্থার’’-এর স্রষ্টা ব্লেক এডওয়ার্ডস পরলোকে

১৭ ডিসেম্বর ২০১০

১৯৬১-র ‘‘ব্রেকফাস্ট এ্যাট টিফানিজ’’-এ অড্রে হেপবার্নকে ষাটের দশকের ফ্যাশন আইকনে পরিণত করেছিলেন হলিউডের এই চিত্রপরিচালক৷ এক হিসেবে কমেডির রাজা৷ ‘‘পিংক প্যান্থার’’-ই তার প্রমাণ৷

https://p.dw.com/p/QeKo
Blake Edwards
হলিউডের চিত্রপরিচালক ব্লেক এডওয়ার্ডসছবি: AP

৮৮ বছর বয়সে মারা গেলেন নিউমোনিয়ায়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মোনিকায়৷ ‘‘সাউন্ড অফ মিউজিক'' খ্যাত গায়িকা-অভিনেত্রী জুলি এ্যানড্রুজ এডওয়ার্ডসের দ্বিতীয় স্ত্রী৷ দু'জনের ৪১ বছরের দাম্পত্য জীবন৷ এ্যান্ড্রুজ এডওয়ার্ডস'কে যেমন ভালোবাসতেন, তেমন শ্রদ্ধা করতেন৷ ৫০ বছরের বেশি ছবি করার পর এডওয়ার্ডস অবশ্য এমনিতেই কিংবদন্তি৷ তার ওপর আবার ২০০৪ সালে বিশেষ সম্মানসূচক অস্কার পান তাঁর সারা জীবনের কৃতির জন্য৷

এডওয়ার্ডসের মায়ের দ্বিতীয় বিবাহ ছিল প্রখ্যাত নাট্যপরিচালক জ্যাক ম্যাকএডওয়ার্ডসের সঙ্গে৷ ছেলেবেলা থেকেই চিত্রজগতের মানুষজনকে চেনেন, তারকাদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে স্কুলে গেছেন, মিকি রুনি'র রুমমেট ছিলেন৷ স্বল্প কিছুদিন অভিনেতা হিসেবে কাজ করার পর এডওয়ার্ডস আসেন চিত্রনাট্য লেখায় এবং চিত্রপরিচালনায়৷ তাঁর কমিক জিনিয়াসের স্ফূরণ সেখান থেকেই৷

‘‘পিংক প্যান্থার''-এ এডওয়ার্ডসের গাঁটছড়া পড়ে ব্রিটিশ অভিনেতা পিটার সেলার্স-এর সঙ্গে, যিনি নিরেট অথচ ভাগ্যবান ফরাসি পুলিশ ইনস্পেক্টর ক্লুজো হিসেবে দুনিয়া মাত করে গেছেন৷ সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছিল হেনরি মানচিনি'র মিউজিক৷ প্রথম থেকেই হিট৷ ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮ অবধি সাতটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন এডওয়ার্ড এবং সেলার্স৷ বলতে কি, ক্লুজো'কে ঐরকম নিরেট করার আইডিয়াটা সেলার্সের মাথা থেকেই আসে৷ সেলার্সের চাপেই এডওয়ার্ডস ক্লুজো'কে ছবির মুখ্য চরিত্র করতে রাজি হন৷ - শেষের দিকে কিন্তু দু'জনের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গেছিল৷

অপরদিকে ‘‘সাউন্ড অফ মিউজিক''-এর পর জুলি এ্যান্ড্রুজ মোটামুটি ঐ ‘সিংগিং নান'-এর রোলেই আটকা পড়ে যেতে চলেছিলেন৷ ‘‘ভিক্টর/ভিক্টোরিয়া'' এবং ‘‘এস.ও.বি''-র মতো ছবির মাধ্যমে জুলি এ্যান্ড্রুজের রূপান্তরণের জন্যও এডওয়ার্ডসই দায়ী৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক