পিতার কুকীর্তি নিয়ে ছেলের তথ্যচিত্র
২১ মার্চ ২০১০১৫ হাজার খুনের অভিযোগ রয়েছে কুখ্যাত ব্যক্তিত্ব পাবলো এসকোবারের বিরুদ্ধে৷ এছাড়া ১৯৯০ এর দশকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এসকোবার৷ পিতা সম্পর্কে ছেলে এসকোবার বললেন, ‘‘আমার কাছে অন্য যে কোন পিতার মতোই ছিলেন তিনি৷'' আমাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য গল্প শোনাতেন এবং গান গাইতেন তিনি, বললেন ছেলে এসকোবার৷
৩২ বছর বয়সি এসকোবার একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন তাঁর পিতার জীবন এবং যতসব কুকর্ম নিয়ে৷ এর নাম দিয়েছেন ‘আমার পিতার পাপসমূহ'৷ এতে তিনি তাঁর পিতার অপরাধের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা করেছেন৷ এছাড়া ১৯৮০ সালে তাঁর পিতা যে দুই জন রাজনীতিককে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁদের সন্তানদের কাছেও ক্ষমা ভিক্ষা করেছেন জুনিয়র এসকোবার৷
এই তথ্যচিত্রে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর শৈশবকাল, যা তিনি ‘কোকেইন সম্রাট' পিতার সাথে কাটিয়েছেন৷ তিনি স্মরণ করেছেন তাঁর পিতার নির্দেশে খুন হওয়া রাজনীতিকদের সন্তান রড্রিগো লারা বনিলা এবং লুইস কার্লোস গালানের সাথে তাঁর সাক্ষাতের ঘটনা৷ তথ্যচিত্র নির্মাতা এসকোবার বলেন, ‘‘দু'টি সাক্ষাতই ছিল খুব উত্তেজনাপূর্ণ৷ আমি বিশ্বাস করতেই পারিনি যে তারা আমার সাথে দেখা করবে৷''
১৯৯৩ সালের শেষ দিকে উত্তর কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরে তাঁর পিতা যখন পুলিশের গুলিতে নিহত হন, তখন নিরাপত্তার জন্য নিজের নাম পরিবর্তন করে সেবাস্টিয়ান মারোকুইন নামে পরিচিত হন ছেলে এসকোবার৷ পরের বছরই তিনি আর্জেন্টিনা পালিয়ে যান৷ সেই থেকে মা, বোন এবং স্ত্রীকে নিয়ে আর্জেন্টিনাতেই বাস করছেন জুনিয়র এসকোবার৷
মেক্সিকোর গুয়াডালাজারা চলচ্চিত্র উৎসবে জুয়ান পাবলো এসকোবার বললেন, ‘‘বাবার সাথে যখন তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলার সুযোগ হতো তখন আমি যেন শক্ত পাথর এবং শক্ত তলের মাঝখানে পড়ে রয়েছি এমনটি মনে হতো৷ কারণ আমি তাঁকে কোনভাবেই তাঁর অবস্থান থেকে নড়াতে পারতাম না৷'' তবে পিতা এসকোবার জীবনের মূল্যবোধগুলো ঠিকমতোই তাঁকে শেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই সঠিক পথে টিকে থাকতে পেরেছেন জুনিয়র এসকোবার, নিজের পিতা এবং নিজের সম্পর্কে এমনই মূল্যায়ন করলেন ছেলে এসকোবার৷ পেশায় স্থপতি জুয়ান পাবলো এসকোবারের মতে, ‘‘যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব মাদকের অবসান ঘটানো৷''
প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম