1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিয়ংইয়ং-এর ঘাড়ে নতুন নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপাল অ্যামেরিকা

৩১ আগস্ট ২০১০

নতুন করে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপালো যুক্তরাষ্ট্র৷ এই নিষেধাজ্ঞার অধিকাংশই অবশ্য অর্থনৈতিক৷ হোয়াইট হাউজ বলছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা নতুন এই মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার বিলে সই করে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Ozqg
উত্তর কোরিয়া, পিয়ংইয়ং, দক্ষি কোরিয়া, সিওল, Seoul, North Korea, South Korea, Communist,USA,Nuclear,Trade, Sanctions
কোরীয় উপসাগরে অস্ত্রের ঝনঝনা বন্ধ হচ্ছে না৷ উত্তর কোরিয়ার স্কাড মিসাইলের ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ dpa

কোন কোন ক্ষেত্রে এল এই নতুন নিষেধাজ্ঞা

মাদক, কিছু বিলাসদ্রব্য আর অবশ্যই অস্ত্র৷ উত্তর কোরিয়া নানারকম নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে পড়ার পরেও যেটুকু রফতানি এবং আমদানি করতে পারে, তার অনেকটাই কেড়ে নিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ ঔষধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক মাদক বিশ্বের অনেক দেশকেই সরবরাহ করত এতদিন উত্তর কোরিয়া৷ এবার সেটাও যথেষ্ট কমে যাবে৷

নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কী শুধুই রাষ্ট্রের ওপরে

রাষ্ট্র তো অবশ্যই৷ সেইসঙ্গে কিছু ব্যক্তিবিশেষের ওপরেও নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে৷ বলছে হোয়াইট হাউজের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র৷ বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার আটটি সংস্থা এবং চার ব্যক্তির ওপর পড়বে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব৷ তাদের মধ্যে এমন কিছু সংস্থা রয়েছে, যারা এই নিষেধাজ্ঞার পর আর বহির্বিশ্বের কোথাও বাণিজ্যে অংশ নিতে পারবে না৷ সেটাও একটা লক্ষ্য৷ কারণ, পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে চলা কম্যুনিস্ট উত্তর কোরিয়াকে সবদিক থেকে কোণঠাসা করতে এখন বদ্ধপরিকর অ্যামেরিকা৷ এও সেই পদ্ধতিরই একটা দ্রুতগতি দাবার চাল৷

Südkorea Nordkorea Reaktionen in Seul zu Atomtest und Kurzstreckenrakete
দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত পারমাণবিক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দক্ষিণের প্রতিবাদ৷ সৌলের পথে৷ছবি: AP

রণতরী ডোবানোর পর থেকেই নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটা

কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে টর্পেডো হামলা করে ডুবিয়ে দিয়েছিল পিয়ংইয়ং৷ প্রথম থেকে সৌলের অভিযোগ পিয়ংইয়ং অস্বীকার করতে থাকে৷ পরে তদন্তে দেখা যায়, জাহাজের গায়ে আঘাত হানা টর্পেডোর গায়ে উত্তর কোরিয়ার ছাপ্পা৷ এই ঘটনায় ৪৬ জন দক্ষিণ কোরিয় নাবিকের সলিল সমাধি হয়েছিল৷ এরপর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল সৌলের বন্ধু ওয়াশিংটন একটা ব্যবস্থা কিছু করবে৷ সেই ব্যবস্থাই দেখা গেল অবশেষে৷ এছাড়া পারমাণবিক অস্ত্র বানানো নিয়ে পিয়ংইয়ং-এর দীর্ঘদিনের হুমকির পাল্টাও বলা যায় এই নতুন নিষেধাজ্ঞাকে৷ তাছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গত কয়েকদিন আগেও বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের স্পর্ধার জন্য শাস্তি পাবে৷ সেটাও একটা জরুরি ইঙ্গিত ছিল বৈকি!

প্রতিবেদনঃ সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনাঃ ফাহমিদা সুলতানা